ভারত এবং পাকিস্তান যখনই ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি হয়, তখন দুই দলের মধ্যে উত্তপ্ত পরিবেশ দেখা যায়। বর্তমান সময়ের মতো অতীতেও বহু ম্যাচে এমনটা দেখা গিয়েছে। ১৯৯৬ সালে সারজায় এরকমই একটি ম্যাচে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন আমের সোহেল এবং নভজোৎ সিধু। একবার একটি কমেডি শোয়ে এই ঘটনার কথা বর্ণনা করেছিলেন সিধু। তবে সোহেলের দাবি, সিধু যেভাবে বলেছেন সেরকম কিছুই ঘটেনি। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক আরও জানান, ২০০৫ সালে একটি নিউজ চ্যানেলে তিনি এই ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেটারকে প্রশ্ন করেন এবং নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন। তিনি আরও যোগ করেন যে, এই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া আর এক ক্রিকেটার আকিব জাভেদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সিধুকে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “একটি কমেডি শোয়ে একটি গল্প বলেন নভজোৎ। এই ব্যাপারে ২০০৫ সালে একটি নিউজ চ্যানেলে আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি আবার সেই ঘটনার কথা বলেন। আমি তাকে বলেছিলাম, তিনি যেভাবে মনে করছেন, সেভাবে প্রকৃত ঘটনা ঘটেনি। আমি তাকে আরও জানাই, আকিব জাভেদ শহরে রয়েছেন। আমরা তিনজনে আলোচনায় বসে এই সমস্যাটি মিটিয়ে নিতে পারি।”
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আমের সোহেল বলেন, শেষবার আমি যখন এশিয়া কাপে ধারাভাষ্যের কাজ করছিলাম, তখনও একবার এই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল এবং আমি সেটার ব্যাখ্যা দিয়েছি। তবে তিনি এই ঘটনাটি পৃথকভাবে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং আমার মনে হয় আমার একটা ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।
ঘটনা বিশদে জানালেন আমের সোহেল
ঘটনার কথা বিশদে জানিয়েছেন আমের সোহেল। তিনি বলেন, নভজোৎ সিধু যখন ৯০ রানে ব্যাট করছিলেন, তখন তিনি তার কাছে এসে বোলারের গালাগাল দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হন। যদিও সোহেল তখন বলেন, এটা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না। কারণ এটাই ফাস্ট বোলারদের অভ্যেস। তবে সোহেলকে ক্ষুব্ধ সিধু মনে করিয়ে দেন, এই ক্ষেত্রে অধিনায়কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন আম্পায়ার। তখন ৫৩ বছর বয়সী মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, মাঠের মধ্যে যদি ওই গালাগাল দেওয়ার ঘটনা ঘটত, তাহলে আম্পায়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করত। সেরকম কিছু হয়নি। তার মানে হল মাঠে কিছু ঘটেনি। আমের বলেন, ১৯৯৬ সালে শারজায় ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের একটি ম্যাচে আমি যখন অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করছিলাম, তখন এই ঘটনা ঘটে। সিধু পাজি তখন ৯০-এর আশেপাশে ব্যাটিং করছিলেন। একটি ওভারের মাঝেই তিনি বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে আমার কাছে বলেন, আমির পাজি আপনার বোলারকে শিক্ষিত করে তুলুন। তিনি অন্যায় করছেন। আমি তখন জিজ্ঞাসা করলাম, পাজি কি হয়েছে। তিনি তখন বলেন, বোলার আমাকে গালাগাল দিচ্ছে। আমি তখন বলি, পাজি ওসব নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। ও একজন ফাস্ট বোলার। তাদের একটু কথা বলার অভ্যেস রয়েছে। তিনি তখন বলেন, না না। তাকে বলুন তিনি যা খুশি করতে পারেন, তবে আমাকে যেন গালাগাল না দেন। আমি তখন তাকে বলি, ঠিক আছে পাজি। ম্যাচের পর আমি তাকে বলব। আপনি খেলতে থাকুন। খেলোয়াড়দের মধ্যে গালাগাল চললে সেক্ষেত্রে আম্পায়াররা কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, সেই ম্যাচে শচীন তেন্ডুলকরের ১১৮ রানের পাশাপাশি ১০১ রান করেন সিধু। প্রথমে ব্যাট করে ৩০৫ রান তোলে ভারত। এর জবাবে ৪৭ ওভারে ২৭৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য