বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে লকডাউন জারি হওয়ায় কোনো স্পোর্টিং ইভেন্ট উপভোগ করা যাচ্ছে না। এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে খেলোয়াড়রা অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছেন। অনেকে আবার ইনস্টাগ্রাম লাইভে অংশগ্রহণ করছেন। এই সময়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন তার অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে বিশেষ অতিথিদের আমন্ত্রণ করছেন। শনিবার এই ভারতীয় স্পিনারের লাইভ কথোপকথন অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর। সেই আলাপচারিতার সময় ১৯৯৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচের ব্যাপারে তাকে কিছু প্রশ্ন করা হয়।
ভারতীয় অনুরাগীদের কাছে সেই ম্যাচ বেশ হতাশাজনক ছিল। সেই ম্যাচের অন্যতম সদস্য ছিলেন মঞ্জরেকর। কথোপকথনের সময় সেই ম্যাচের স্মৃতি নিয়ে দুই ক্রিকেটার আলোচনা করেন। ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান মঞ্জরেকর, সেই ম্যাচের ব্যাপারে অনেক কথা বলেন। এই ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় ফাইনালে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় ভারত।
অশ্বিন এবং মঞ্জরেকরের মধ্যে কথোপকথন ভালো লেগেছে হার্ষা ভোগলের
জয়ের জন্য ২৫২ রান তাড়া করতে মাঠে নামে ভারত। ক্রিজে তখন ব্যাটিং করছিলেন শচীন তেন্ডুলকর। ম্যাচ পুরোপুরিভাবে ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে তিনি আউট হয়ে যাওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। ১ উইকেটের বিনিময়ে ৯৮ রান থেকে ভারতের স্কোর হয়ে দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১২০ রান। এর পর স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা হ্ট্টগোল শুরু করেন। তাদের এই চরম বিশৃঙ্খলার কারণে ম্যাচটি বাতিল করতে হয়। সেই ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে শ্রীলঙ্কা।
এই লাইভ সেশন দেখার পর ধারাভাষ্যকার হার্ষা ভোগলে ট্যুইটারে তার অভিমত প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, দুই ক্রিকেটারের মধ্যে কথোপকথন তিনি উপভোগ করেছেন। এছাড়া তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ভারতীয় স্পিনার বেশ কৌতূহলের সঙ্গে অনেক প্রশ্ন করেছেন। মঞ্জরেকরও আন্তরিকভাবে উত্তর দিয়েছেন বলে তাকে বাহবা দিয়েছেন ভোগলে। তিনি ট্যুইটের মাধ্যমে জানান, ১৯৯১ সালে তিনি অনুমান করে বলেছিলেন যে রবি শাস্ত্রী এবং সঞ্জয় মঞ্জরেকর ভালো ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হবেন। এই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ অশ্বিনের ব্যাপারেও একই মূল্যায়ন করেছেন। হার্ষা ভোগলে তার ট্যুইটে লেখেন, অশ্বিন এবং মঞ্জরেকরের মধ্যে কথোপকথন বেশ উপভোগ করেছি। অশ্বিন বেশ কৌতূহলী এবং এক্ষেত্রে সঞ্জয় আন্তরিকভাবে উত্তর দিয়েছেন। ১৯৯১ সালে আমি বলেছিলাম যে সঞ্জয় এবং রবি ভালো ধারাভাষ্যকার হবেন। এবার আমি সেটা অশ্বিনের ব্যাপারে বলছি।
মঞ্জরেকর এবং ভোগলের মধ্যে একটু ইতিহাস রয়েছে। এই দুজনে বহু বছর ধরে ধারাভাষ্যকারদের প্যানেলে রয়েছেন। যদিও কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশের গোলাপী বলের প্রথম টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। অন-এয়ারে দুজনে নতুন পিঙ্ক বলের দৃশ্যমানতা নিয়ে কথা বলছিলেন। হার্ষার মতে, ম্যাচের পরে এটি নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলা উচিত। যদিও মঞ্জরেকরের মতে, সেটার প্রয়োজন নেই। এরপর মুম্বইয়ের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বলেন, হার্ষা কোনো পেশাদারী ক্রিকেট খেলেননি। অতএব বলের দৃশ্যমানতা নিয়ে তার আলোচনা করার প্রয়োজন নেই।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য