অবশেষে জল্পনা সত্যি হল। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (COVID-19) কারণে এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আসন্ন আইপিএল বাতিল বা স্থগিত করা হতে পারে। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হোক। অন্যদিকে দিল্লি সরকার বলেছে, রাজধানীতে আইপিএল ম্যাচ আয়োজন করা হবে না। ব্যাপক জনসমাগমের মাঝে করোনাভাইরাস ছড়ানোর প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সমস্ত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিসিসিআই আধিকারিকগণ, প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সেক্রেটারি জয় শাহ শুক্রবার মুম্বইয়ে বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানেই এপ্রিল পর্যন্ত আইপিএল পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আইপিএল স্থগিত করার ফলে পরিস্থিতি মূল্যায়নের সময় পাবে বিসিসিআই

টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্রদের মতে, আইপিএল পিছিয়ে যাওয়ার ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতির মূল্যায়নের জন্য বিসিসিআই আরও কিছুটা সময় পাবে। করোনাভাইরাস নিয়ে আগামীদিনে কি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার উপর নির্ভর করে টুর্নামেন্টের ব্যাপারে বোর্ড ফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। সূত্র জানায়, টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ার ফলে বিসিসিআই সামগ্রিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার সময় পাবে। এছাড়া এই ব্যাপারে প্রয়োজনে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ও পাওয়া যাবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রকোপ হ্রাস পায়, নিয়ন্ত্রণে থাকে না কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, সেদিকেও নজর রাখতে পারবে বিসিসিআই। পরিবর্তিত পরিস্থিতি এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির মতামতের ভিত্তিতে পরের দিকে নয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে।

এছাড়া আইপিএল পিছিয়ে যাওয়ায় বিদেশি খেলোয়াড়দের ভারতের ভিসার ব্যাপারে বিসিসিআই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়েই টুর্নামেন্টে অভিযান শুরু করতে চায়। এপ্রিলের মাঝামাঝি টুর্নামেন্ট আরম্ভ হলে সেক্ষেত্রে সূচীও বদল করতে হবে। কারণ টুর্নামেন্ট শেষ করতে সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃতভাবে কম সময় পাওয়া যাবে। ওই সূত্র মারফৎ বলা হয়, টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়ার ফলে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য বিসিসিআই প্রয়োজনীয় সময় পাবে। এপ্রিলের মাঝামাঝি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হলে এবার বিদেশি খেলোয়াড়দের ভিসার ব্যাপারে কাজ করার সময় পাওয়া যাবে। মনে রাখতে হবে, বিদেশি খেলোয়াড়দের ছাড়া আইপিএলের আয়োজন করা যাবে না। পরিস্থিতি নির্বিশেষে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি এই শর্ত আরোপ করবে।