ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২০২০ সংস্করণ যদি অনুষ্ঠিত না হয়, তাহলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া বা বিসিসিআই। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, আইপিএল ২০২০ বাতিল হলে বিসিসিআইয়ের প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা লোকসান হবে। এই বছরের টুর্নামেন্টে ২৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। যদিও পরে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি স্থগিত করে দেওয়া হয়। তবে লকডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বর্ধিত করার পর আইপিএল ২০২০ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।

এবারের আইপিএল সম্পূর্ণভাবে বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সমস্যায় পড়েছে। এমনকি চলতি বছরের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলা টি-২০ বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এনডিটিভি স্পোর্টসের একটি রিপোর্টে বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল বলেন, বিসিসিআইয়ের বিপুল লোকসানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আইপিএল যদি অনুষ্ঠিত না হয়, তাহলে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা বা তার বেশি লোকসান হবে।

বেতন হ্রাস করা হতে পারে: বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ

আপাতত যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ কিছু করার নেই। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, খেলার থেকে জীবন অনেক বেশি মূল্যবান। তাই নিকট ভবিষ্যতে কোনো প্রকার ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হবে না। এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ওডিআই সিরিজ বাতিল করা হয়। তবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের থেকে আইপিএল থেকে বিসিসিআই সবথেকে বেশি টাকা রোজগার করে। তাছাড়া ভারতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আইপিএল। ধুমাল বলেন, আমরা জানি না এবছর (আইপিএল) হবে না। কতগুলি ম্যাচ আমরা হারালাম সেটা হিসেব করার পরই আর্থিক ক্ষতির সঠিক হিসেব জানা যাবে।

জানা গিয়েছে, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি, সেক্রেটারি জয় শাহ এবং ধুমাল, করোনা মহামারির মধ্যে ক্রিকেটারদের বেতনে কাটছাঁট করায় খুব একটা আগ্রহী নন। তবে পরিস্থিতির চাপে পড়ে সেই পদক্ষেপও গ্রহণ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিসিসিআই আধিকারিক। ধুমাল বলেন, (ক্রিকেটারদের বেতন কাটা) সেটাই হবে আমাদের শেষ পদক্ষেপ। সেই কারণেই আমরা হিসেব করছি যে আমাদের কত ক্ষতি হবে এবং আমাদের শেষে কত টাকা প্রদান করতে হবে। একবার আমরা সেই মূল্যায়ন করতে পারলে এই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তবে আমাদের অ্যাজেন্ডায় সেটা সবরা শেষে রয়েছে।

ধুমাল আরও জানিয়েছেন, মহামারি থামলে তবেই আগামী জুন মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারে ভারত। তবে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনোরকম আপোস করতে রাজি নয় বিসিসিআই।