ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) আফগানিস্তানের যে কয়েকজন ক্রিকেটার প্রথমে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন রশিদ খান। শুধু আইপিএল নয়, বিশ্বের অন্যান্য টি-২০ লিগেও রশিদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রায় সমস্ত জায়গাতেই তিনি ব্যাটসম্যানদের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করেছেন। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, তার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে মারকাটারি ব্যাট করছেন কিছু সুপারস্টার ব্যাটসম্যান।
যুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভ চলাকালীন সেই চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করেছেন রশিদ খান। তিনি বলেন বিরাট কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্স, আন্দ্রে রাসেল এবং ক্রিস গেইলের মতো ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে বিশেষত ছোটো মাঠে বল করাটা বেশ কঠিন। এছাড়া অনেক সময় পিচ এত ফ্ল্যাট হয় যে ওই ব্যাটসম্যানদের মোকাবিলা করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। ম্যাচের আগে এই বিষয়গুলি তার মাথায় ঘোরাঘুরি করে বলে জানান রশিদ খান। তার কথায়, ছোটো মাঠে বিরাট ভাই, এবিডি, রাসেল এবং ক্রিস গেইলকে বোলিং করা অত্যন্ত কঠিন। উইকেট থেকে কাঙ্খিত সাহায্য পাওয়া যায় না বাউন্ডারিও খুব ছোটো। এই জিনিসগুলি ম্যাচের আগে মাথায় আসে।
আইপিএলে খেলার চ্যালেঞ্জ আছে ঠিকই, তবে সেটা উপভোগও করেন রশিদ। আফগান লেগ স্পিনার বলেন, আইপিএলে খেলাটা একটা স্বপ্ন ছিল। টিভিতে এটা দেখেই আমি বড় হয়েছি। সমস্ত আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় এই লিগে রয়েছেন। কোচিং স্টাফরাও অত্যন্ত অভিজ্ঞ।
আইপিএল ডেবিউর কথা স্মরণ করলেন রশিদ খান
২০১৭ সালে প্রথমবারের জন্য আইপিএলে অংশগ্রহণ করেছিলেন রশিদ খান। সেবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সি গায়ে তাকে মাঠে দেখা যায়। সেই মুহূর্তের কথা স্মরণ করেছেন রশিদ। ২১ বছর বয়সী বোলার বলেন, যখন তার হাতে বল তুলে দেওয়া হয় তখন তিনি খুব নার্ভাস ছিলেন। তার প্রথম ডেলিভারি বাউন্ডিরেত উড়ে যায়। তবে প্রথম উইকেট পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন রশিদ খান।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে তার প্রথম উইকেট ছিলেন মণদীপ সিং। ওই ম্যাচে জয়ের জন্য ২০৮ রান ডিফেন্ড করছিল ২০৮ রান। চাহালের সঙ্গে লাইভ সেশনে রশিদ বলেন, আপনাদের (আরসিবি) বিরুদ্ধেই আমার ডেবিউ হয়েছিল। আমার প্রথম বলেই বাউন্ডারি হয়। আমার কাছে সেটা কঠিন ম্যাচ ছিল। কারণ মাঠে শিশির ছিল। আমি নার্ভাস ছিলাম। তবে প্রথম উইকেট পাওয়ার পর আমার আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় উইকেট নেওয়ার পর আমি বোলিংটা উপভোগ করছিলাম।
সেই ম্যাচে ২৫ রানে জয়ী হয় এসআরএইচ। চার ওভারে রশিদ খানের বোলিং ফিগার ছিল ২/৩৬। মণদীপের পর আফগান স্পিনারের বলে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আউট হন ট্রেভিস হেড।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য