করোনাভাইরাসের কারণে এখন গোটা বিশ্বেই চলছে লকডাউন। মারণ ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফ থেকে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে মহামারি সৃষ্টি করেছে এই রোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমশ ভয়ানক আকার ধারণ করছে কোভিড-১৯। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মার্কিন মুলকে লকডাউন আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে স্থগিত করা হয়েছে একাধিক ফুটবল টুর্নামেন্ট। এবার অনিশ্চিয়তার মুখে পড়ল কলকাতা ফুটবল লিগ। এবারের মরসুম আদৌ শুরু হবে কি না, তা বুঝতে পারছেন না ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএ) কর্তারা। সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জী বলেন, আদৌ লিগ শুরু করা সম্ভব হবে কি না জানি না।  আগে মানুষ সুস্থ-শান্তিতে থাকুক। তারপর খেলার কথা ভাবব। তাই বুঝে উঠতে পারছি না কি করব। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রীড়া দপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। জয়দীপবাবু আরও বলেন, মে মাসে নিচের ডিভিশনের খেলাগুলো শুরু হত। এখন যা পরিস্থিতি জুন-জুলাইয়ের আগে খেলা শুরু করা অসম্ভব। তার মানে বহু খেলা বাতিল করতে হবে। সেক্ষেত্রে নিচের ডিভিশনের খেলা বাতিল হলে হবে।

তবে শেষ পর্যন্ত কলকাতা ফুটবল লিগ যদি বাতিল হয়, সেটা ময়দানের ফুটবলে একটা বড় ধাক্কা দেবে। এই লিগের উপরেই অনেকের রুটি-রুটি নির্ভর করে। সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্টে আইএফএ সচিব বলেন, প্রায় আড়াই হাজার ম্যাচ প্রতি বছর হয়। এই খেলার উপর অনেকের সংসার চলে। তাদের কথা ভেবে কষ্ট হচ্ছে। ক্লাবগুলো চলবে কি করে জানি না। স্পনসর পাবে কিনা সন্দেহ।

কোয়ারেন্টাইন ভেঙে বিতর্কে নেইমার

করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে আপৎকালীন পরিস্থিতির মধ্যে বিতর্কে জড়ালেন ব্রাজিলের ফুটবলার নেইমার। প্যারিস সাঁ জাঁর এই নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার কিছুদিন আগে ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেছেন। আপাতত তিনি ব্রাজিলে ছুটি কাটাচ্ছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যখন সবাইকে বাড়িতে থাকতে, ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তখন ইনস্টাগ্রামের ছবিতে দেখা গেল বন্ধুদের সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে তিনি সময় কাটাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তাকে ফুট-ভলিবল খেলতেও দেখা যায়। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন নেইমার। একজন সুপারস্টার হয়েও তিনি কিভাবে এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করতে পারলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও নেইমারের তরফ থেকে সাফাই গেয়ে বলা হয়েছে, ইনস্টাগ্রামে যাদের ছবি দেখা যাচ্ছে, তারা ফটোগ্রাফার। তারা প্যারিস থেকে নেইমারের সঙ্গেই এসেছেন। তাদের সঙ্গেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন নেইমার।