শচীন তেন্ডুলকরের শেষ টেস্ট ম্যাচ ভারতে একটা ইভেন্টে পরিণত হয়েছিল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আহ্বান করা হয়। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচের প্রত্যেকটা দিন স্টেডিয়ামে বিপুল সংখ্যায় দর্শকরা উপস্থিত হয়েছিলেন। অনেক ক্রিকেটপ্রেমী প্রত্যাশা করেছিলেন যে, বড় রান করে টেস্ট কেরিয়ারে দাঁড়ি টানবেন শচীন। স্টেডিয়ামে তখন অবিশ্বাস্য পরিবেশ। এমনকি বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রাও ওই ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপভোগ করছিলেন। সেই ট্যুরিং পার্টির অন্যতম সদস্য ছিলেন কার্ক এডওয়ার্ডস। প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ না পেলেও শচীনের আউট হওয়ার সময় ফিল্ডিং করছিলেন। এবার এডওয়ার্ডস জানিয়েছেন, শচীন তার কেরিয়ারে শেষবারের জন্য যখন আউট হলেন, তখন তিনি এবং ক্রিস গেইল প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
প্রথম ইনিংসে ক্যারিবিয়ানদের মাত্র ১৮২ রানে অলআউট করার পর ১ম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ১৫৭/২। ক্রিজে নট আউট ছিলেন চেতেশ্বর পূজারা (৩৪) এবং শচীন তেন্ডুলকর (৩৮)। শচীনকে ভালো ছন্দে দেখাচ্ছিল। অনেকে আশা করছিলেন, শচীন তার এই শেষ ম্যাচে একটা শতরান করবেন। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে ৭৪ রানের মাথায় নরসিং দেওনারায়ণের ডেলিভারিতে আউট হন মাস্টার ব্লাস্টার। স্টেডিয়ামে তখন পিনড্রপ সাইলেন্স। তবে দর্শকরা তারপর দ্রুত আসন থেকে উঠে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারকে করতালি দিয়ে বিদায় জানান। সেই সঙ্গে শচীনের ২৪ বছরের কেরিয়ারে দাঁড়ি পড়ে। তখন মাঠে অন্যানদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কার্ক এডওয়ার্ডস। ক্রিস গেইলের পাশে তিনি ফিল্ডিং করছিলেন। উভয় ক্যারিবিয়ান খেলোয়াড় প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। সেই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে কার্ক এডওয়ার্ডস বলেন, তিনি এবং ক্রিস গেইল কান্না প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবুও চোখের জল কোনো বাধা মানেনি। ক্রিকট্র্যাকারের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে এডওয়ার্ডস বলেন, তার ২০০তম টেস্ট ম্যাচে আমি মাঠে উপস্থিত ছিলাম। আমার কাছেও সেটা একটা আবেগময় মুহূর্ত ছিল। আমি সানগ্লাস পরেছিলাম। আমি গেইলের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন আমাদের উভয়ের চোখে জল। আমরা চোখের জল আড়াল করার চেষ্টা করছিলাম। আর কোনোদিনও এই মহান খেলোয়াড়কে ক্রিকেট খেলতে দেখতে পাব না, এই কথা ভাবার পরই প্রচণ্ড দুঃখ পেয়েছিলাম।
শচীন তেন্ডুলকরের থেকে মেসেজ পাওয়ার কথা স্মরণ করলেন কার্ক এডওয়ার্ডস
মাস্টার ব্লাস্টারের ব্যাপারে আরও বলতে গিয়ে ৩৫ বছর বয়সী এডওয়ার্ডস জানিয়েছেন, কিভাবে তার কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলিতে শচীন তাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলেন। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার জানিয়েছেন, তার কেরিয়ারের তৃতীয় ম্যাচের পর শচীন তার কাছে এসে ক্রিকেট উপভোগ করতে বলেন। এছাড়া ইংল্যান্ড সফরে যখন তিনি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন শচীন তাকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। এডওয়ার্ডস বলেন, আমার কেরিয়ারে শচীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আমাকে ভালো খেলার উৎসাহ জুগিয়েছেন। আমার কেরিয়ারের তৃতীয় ম্যাচের পর তিনি আমার কাছে এসে আমাকে বলেছিলেন, সিরিজে তিনি আমার ব্যাটিং উপভোগ করেছেন। আমি সেটা বিশ্বাস করতেই পারছিলাম না।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য