গোটা বিশ্ব এখনও করোনাভাইরাস মহামারিতে ভুগছে। চিন থেকে এই মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল। এই ভাইরাসের কারণে তৈরি হওয়া উদবেগের পাশাপাশি ভারত এবং চিনের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

মে মাসের শুরু থেকে লাদাখ অঞ্চলে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সেনা একটি বিবৃতি জারি করেছে, যেখানে বলা হয়, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ডি-এস্কেলেশন প্রক্রিয়ার সময় গালওয়ান উপত্যকায় এই ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ সংঘর্ষে উভয় দিকেই অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয়দের মধ্যে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন অফিসার এবং দুজন সেনা জওয়ান। পরিস্থিতি শান্ত করতে আপাতত ঘটনাস্থলে বৈঠকে বসেছেন দুই তরফের সিনিয়র মিলিটারি আধিকারিকরা।

মৃত ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, শিখর ধাওয়ান এবং অন্যান্য ক্রিকেটাররা

এদিকে চিন সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শ্রদ্ধা অর্পণ করেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। শহীদ কর্নেল সন্তোষ বাবুর একটি ছবি তিনি ট্যুইটারে পোস্ট করেন। বীরু আশাপ্রকাশ করেন যাতে চিন আর এই ধরণের কাজকর্ম না করে। তিনি লেখেন, গালওয়ান উপত্যকায় প্রাণ উৎসর্গ করা কর্নেল সন্তোষ বাবুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা অর্পণ করছি। একদিকে যখন গোটা বিশ্ব একটা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, এই ধরণের জিনিস আমাদের প্রয়োজন নেই। আমি আশা করি চিন যেন নিজেকে সংশোধন করে।

বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ছাড়াও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন আর এক ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান। ভারতীয় দলের সীমিত ওভারের ওপেনার ট্যুইটারে লিখেছেন, এই বলিদান দেশ কোনোদিনও ভুলবে না। ভারতীয় সেনার অফিসার এবং সেনাদের পরিবার ও প্রিয়জনকে সমবেদনা জানাই। তাদের সাহসিকতাকে স্যালুট জানাই। জয় হিন্দ! #GalwanValley।

প্রসঙ্গত, উভয় ক্রিকেটার এর আগেও ভারতের শহীদ জওয়ানদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ক্রিকেটারদের এই বার্তা প্রচারের ভারতীয় সেনার উৎসর্গ সম্পর্কে তরুণ প্রজন্ম আরও ওয়াকিবহাল হবে। বীরেন্দ্র সেহওয়া এবং শিখর ধাওয়ান ছাড়াও গালওয়ান উপত্যকার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ইশান্ত শর্মা, আকাশ চোপড়া, ইরফান পাঠান, মহম্মদ কাইফ, অমিত মিশ্র, যুবরাজ সিং, বিজয় শঙ্কর, মিঠুন মানহাস, এস বদ্রিনাথ এবং রাহুল চাহার।