২০০৯ সালের আইপিএল জয়ী দল ডেকান চার্জার্সের প্রাক্তন সদস্য আরপি সিং একটি নয়া তথ্য জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক আলাপচারিতার সময় তিনি বলেন, দলের তৎকালীন অধিনায়ক অ্যাডম গিলক্রিস্ট মনে করেছিলেন, ডানহাতি পেসার হরমিত সিং বানসাল দলের সৌভাগ্যের প্রতীক। ২০০৯ সালের আইপিএলে পাঞ্জাবের এই পেস বোলার মোট নয়টি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ম্যাচগুলি থেকে তিনি মাত্র তিনটি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তবে এই তরুণ ক্রিকেটারের উপর অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান গিলক্রিস্টের অগাধ আস্থা ছিল।
সেবারের টুর্নামেন্টে হরমিতের নেওয়া তিনটি উইকেটের মধ্যে দুটি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে। জেহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২১ বছর বয়সী এই বোলার মার্ক বাউচার এবং রাহুল দ্রাবিড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন। চার ওভারে তিনি খরচ করেছিলেন ২৩ রান। ফাইনালে স্বল্প রান ডিফেন্ড করতে হয়েছিল হরমিতকে। তার এই পারফরমেন্স নিঃসন্দেহে দলকে সাহায্য করেছিল।
গিলক্রিস্ট মনে করতেন যে হরমিত সিং খেললেই ম্যাচ জিতবে ডেকান: আরপি সিং
২০০৯ সালের পার্পল ক্যাপ জয়ী আরপি সিং বলেন, অধিনায়ক অ্যাডাম গিলক্রিস্ট মনে করতেন যে হরমিত সিং যদি কোনো ম্যাচে খেলেন, তাহলে তাতে জয়ী হবে দল। স্টার স্পোর্টসে তিনি বলেন, হরমিত সিংকে নিয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের একটা কুসংস্কার ছিল। তাকে তিনি দলের সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করতেন। গিলক্রিস্টের বিশ্বাস ছিল যে হরমিত খেললেই ডেকান চার্জার্স ম্যাচ জিতবে। প্রসঙ্গত, হরমিত সিংয়ের বোলিংয়ে বিশেষ স্যুইং বা গতি ছিল না। তবে তার ‘ব্যাক-অব-হ্যান্ড’ স্লোয়ার বলের কারণে সেবারের টুর্নামেন্টে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এর পরের দুটি মরসুমেও তিনি ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলেছেন। উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, ২০১২ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে ফের একসঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এবং হরমিত সিং। কিংবদন্তী অস্ট্রেলিয়ানের তত্ত্বাবধানে সেখানেও তিনি দুই মরসুম ক্রিকেট খেলেছেন। ২৭টি আইপিএল ম্যাচে ২৫টি উইকেট তুলে নিয়েছেন হরমিত সিং। তবে ২০১৩ সালের পর থেকে তাকে আর আইপিএলে দেখা যায়নি। এমনকি ২০১৬ সালের পর থেকে তাকে পাঞ্জাবের হয়েও খেলতে দেখা যায়নি।
বড় রান করা সত্ত্বেও যখন রেগে গিয়েছিলেন গিলক্রিস্ট!
স্টার স্পোর্টসের সেই অনুষ্ঠানে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ব্যাপারে আরও একটি তথ্য জানিয়েছেন আরপি সিং। ২০০৯ সালের আইপিএলের সেমিফাইনালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে একটি দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মাত্র ৩৫ বলে ৮৫ রান করেন। গিলক্রিস্টের সেই ঝোড়ো ইনিংসের দৌলতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ডেয়ারডেভিলসকে ছিটকে দিতে সমর্থ হয়েছিল ডেকান চার্জার্স। তবে ২০০৯ সালে আইপিএলের সেমিফাইনালে সেই ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পরেও নিজের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিলেন গিলক্রিস্ট। ড্রেসিং রুমে ফিরে আসার পর তাকে রাগে ফুঁসতে দেখা যায়। যা দেখে অবাক হয়েছিলেন সেখানে উপস্থিত আরপি সিং। তখন তিনি এর কারণ কি তা গিলক্রিস্টকে জিজ্ঞাসা করেন। জবাবে অজি খেলোয়াড় বলেছিলেন, তার টার্গেট ছিল ম্যাচটা শেষ করা। অর্থাৎ দলের জয় পর্যন্ত তিনি নট আউট থাকতে চেয়েছিলেন। যদিও সেটা হয়নি। তাই গিলক্রিস্ট নিজের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। প্রসঙ্গত, সেই ম্যাচের ১০ম ওভারে দলের স্কোর যখন ১০২ রানে ৩ উইকেট, তখন আউট হন গিলক্রিস্ট। যদিও ১৫৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে মাঠে নামা চার্জার্সদের জয়ের ভিত ততক্ষণের মধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- আইপিএল ২০২০-তে চিনা সংস্থাগুলি বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ করবে ৭০০ কোটি টাকা
- ইউএইতে আইপিএল আয়োজনের বিরোধীতা করল ভারতীয় বণিক সংগঠন
- আইপিএল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
- ‘যে কোনোভাবে সুনীল নারাইনকে আমার দলে চাই’, ২০১২ আইপিএল নিলামের আগে বলেছিলেন গৌতম গম্ভীর
- ৮-এর বদলে ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে আইপিএলের ফাইনাল
মন্তব্য