এমএস ধোনি স্টাম্পের পিছনে দাঁড়িয়ে থেকে বোলারদের কিভাবে গাইড করেন, তা হয়তো আপনি শুনেছেন। বা সেই দৃশ্য দেখেছেন। বোলারদের দেওয়া এমএস ধোনির সেই পরামর্শের অনেক অংশ স্টাম্প মাইকে ধরা পড়ে। কোথায় বল করতে হবে, কিভাবে বল করতে হবে, সে ব্যাপারে আপনি হয়তো ধোনির মুখ থেকে অনেক কথা শুনেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ধোনির পরামর্শ অনুযায়ী বল করে সফল হন বোলার। কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চাহালকে এরকম অনেক পরামর্শ দিতে দেখা গিয়েছে মাহিকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কুলদীপ যাদব বলেছেন, তিনি সম্পূর্ণভাবে ধোনির পরামর্শের উপর ভরসা করেন না। তরুণ চায়নাম্যান বোলার তার সাফল্যকে সমগ্র দলের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, ধোনি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হওয়ার কারণে সময়ে সময়ে নানা মূল্যবান তথ্য প্রদান করেন।

মাহি ভাই বিশ্বকাপের পর থেকে খেলেননি বলেই কারুর কাছে আমার কিছু প্রমাণ করার নেই: কুলদীপ যাদব

টাইমস অব ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে কুলদীপ যাদব বলেন, মাহি ভাই যেহেতু উইকেটকিপার, তাই তিনি সর্বদা একজন বোলারের সবচেয়ে ভালো মূল্যায়ন করতে পারবেন। মাহি ভাইয়ের মতো একজন এত অভিজ্ঞ এবং ধারণা রয়েছে যে তিনি বলতে পারেন একজন ব্যাটসম্যান কিভাবে খেলবেন। এর সম্পূর্ণটাই দলগত প্রচেষ্টা।

সাফল্যের জন্য সর্বদা ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে কৃতিত্ব দিয়েছেন কুলদীপ। তবে তিনি স্পষ্টকরে বলেছেন, তার দক্ষতা কতটা, বিশ্বকাপের পর থেকে তার পারফরমেন্সের মাধ্যমে সেটা প্রতিফলিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর থেকে মাহিকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি। ওই মেগা ইভেন্টের পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের উইকেটকিপারের দায়িত্ব সামলেছেন ঋষভ পন্থ এবং কেএল রাহুল। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার বলেন, বিশ্বকাপের পর মাহি ভাই দলে নেই বলে আমাকে কারুর কাছে কিছু প্রমাণ করতে হবে, ব্যাপারটা এরকম নয়। আমি তার উপর নির্ভরশীল ছিলাম কি না, সেটাও আমার বলার প্রয়োজন নেই। আমার দক্ষতা আরও উন্নত করার জন্য আমি চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি। এটা একটা দলগত প্রচেষ্টা।

সতীর্থ লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্কে কুলদীপ বলেন, ‘কুলচা’ বলে পরিচিত তাদের জুটি বিশ্বকাপের পর থেকে একত্রে বেশি খেলার সুযোগ পাননি। হার্দিক পাণ্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে ৭ নম্বর পজিশনের জন্য অলরাউন্ডার হিসেবে রবীন্দ্র জাডেজাকে বেছে নিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে তিন পেসার সহ যেকোনো একজন লেগ স্পিনার খেলোনোর জায়গা তৈরি হয়েছে। ২৫ বছর বয়সী স্পিনার বলেন, রিস্ট স্পিন খুব সহজ নয়। চাহাল এবং আমার মধ্যে বহু বছর ধরে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্বকাপের পর থেকে আমরা একত্রে খেলিনি। কারণ এটা টিম কম্বিনেশন এবং নির্বাচনের উপর নির্ভর করে। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনাকে নমনীয় হতে হবে।