এটিকে এবং মোহনবাগান ক্লাবের সংযুক্তিকরণ নিয়ে এখন কলকাতার ফুটবল ময়দান উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব সবুজ মেরুনের সঙ্গে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) ক্লাব এটিকে গাঁটছড়া বেঁধেছে। এই দুটি ক্লাব নিয়ে এবার একটি নয়া ক্লাব তৈরি হবে। আগামী মরসুম থেকে আইএসএলে অংশগ্রহণ করবে এই ক্লাব। এই ঘোষণায় আরও জানানো হয়, ক্লাবের ৮০ শতাংশ শেয়ার থাকবে আরপিএসজি গ্রুপের হাতে। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ শেয়ার থাকবে মোহনবাগানের হাতে।
বৃহস্পতিবার এই ঘোষণার পরই মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন। তাদের অধিকাংশের বক্তব্য, শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগান ক্লাবকে এইভাবে একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া উচিত হয়নি। মোহনবাগানের অনেক সমর্থক আবার ক্লাবের ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তাদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মোহনবাগান।
ময়দানের আর এক বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবার এই প্রসঙ্গে মোহনবাগানকে খোঁচা মারল। লালহলুদের প্রবীণ আধিকারিক দেবব্রত সরকার বলেন, আমাদের ক্লাব কখনোই “বিক্রি” করা হবে না।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দল এটিকের প্রধান মালিক, কলকাতার ব্যবসায়ী আরপি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বৃহস্পতিবার মোহনবাগান ক্লাবের ৮০ শতাংশ মালিকানা অধিগ্রহণ করেছেন। ২০২০-২১ মরসুম থেকে আইএসএলে এই নয়া ক্লাব অংশগ্রহণ করবে বলে জানানো হয়েছে।
দেবব্রত সরকার এই প্রসঙ্গে বলেন, এটা আমাদের মন্তব্য করার বিষয় নয়। এব্যাপারে মোহনবাগান ক্লাবের আধিকারিক এবং সমর্থকরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন এবং দেখবেন কোন দিকে তারা অগ্রসর হচ্ছেন.....এটি আমাদের মাথা ঘামানোর বিষয় নয়।
মোহনবাগানের নাম না করে তিনি বলেন, আমরা কখনোই আমাদের ক্লাব বিক্রি করব না। আমাদের সদস্য এবং সমর্থকরা কি বলছেন আমরা সেকথা মাথায় রেখেই সবসময় অগ্রসর হব। ওরা বিনিয়োগকারীদের আনতে চাইছে কিন্তু ক্লাবের সম্মান বজায় রাখা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। যা খুশি ঘটুক, আমাদের সদস্যরা ক্লাব পরিচালনা করতে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবেন।
এখন ইস্টবেঙ্গলের মুখ্য বিনিয়োগকারী হল ব্যাঙ্গালোর ভিত্তিক কোয়েস কর্প। তবে এই মরসুমের শেষেই লালহলুদের সঙ্গে তাদের গাঁটছড়া শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। এখন দেখার বিষয় হল আইএসএলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল কিভাবে অগ্রসর হয়। আইএসএলে যোগ দিতে হলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি হিসেবে মোটা টাকা দিতে হয়। ইস্টবেঙ্গল যদি আইএসএলে যোগ দেয়, তারা কিভাবে সেই টাকা জোগাড় করবে সেটাও দেখার বিষয়।
প্রস্তাবিত ভারতীয় ফুটবলের রোডম্যাপের জন্য এএফসির পরামর্শ অনুযায়ী, ২০২০-২১ মরসুমের শেষে আইএসএলে এই দুই বড় ক্লাবের অংশগ্রহণের রাস্তা রয়েছে। দেবব্রতবাবু বলেন, ক্লাবের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে আমরা পা ফেলব। আমরা এমন একজন বিনিয়োগকারী চাই, যারা ক্লাবের প্রকৃত পরিচয় অপরিবর্তিত রেখে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্লাব পরিচালনা করতে এবং এর ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। পরের মরসুমে কি হবে তা এখন বলা খুব কঠিন। আমারা সবেমাত্র ট্রেনে উঠলাম। পরের স্টপেজ এলে কি করা যায় দেখব।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য