ব্রেন টিউমারে ভুগছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন। চলতি বছরের মার্চে জানা যায়, তিনি এই মারণ ব্যাধিতে আক্রান্ত। ‘গ্লিয়োমা’ টাইপ ব্রেন টিউমারে ভুগছেন মোশাররফ। এই ধরণের টিউমার ব্রেনের গ্লিয়াল কোষ থেকে আক্রমণ শুরু করে। চিকিৎসার পিছনে ইতিমধ্যে বহু অর্থ খরচ করেছেন তিনি। তবে এখনও তার চিকিৎসা পুরোপুরি শেষ হয়নি। আরও তিনটি থেরাপি সেশন আছে। আরও টাকা দরকার। বিদেশে তার চিকিৎসা চলছে।
অর্থকষ্ট
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মোশাররফের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ৭৯ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা (১০০,০০০ মার্কিন ডলার) ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স সম্বল করে আমি চিকিৎসা শুরু করি। কিন্তু পরে দেখা যায় আমার এই টাকা যথেষ্ট নয়। অপারেশন এবং কেমোথেরাপির তিনটি সাইকেলের জন্য আমাকে হাসপাতালে প্রায় ১৫০,০০০ মার্কিন ডলারের বিল পেমেন্ট করতে হবে।
পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে নিজের বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন মোশাররফ। আগ্রহী ক্রেতাদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করছেন। মোশাররফ বলেন, যাতায়াতের খরচ ছাড়াও প্রতিটি কেমোথেরাপি সাইকেলে ১০,০০০ মার্কিন ডলারের থেকেও বেশি খরচ হয়। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করার জন্য আমার ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে পাঁচটি ওডিআই খেলেছেন মোশাররফ। নিয়েছেন চার উইকেট। ১১২টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে তিনি ৩৯২ উইকেট নিয়েছেন।
অনুপ্রেরণা যুবরাজ
পরিস্থিতি যাই হোক, প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদী মোশাররফ। তার দৃঢ় বিশ্বাস, একদিন তিনি ক্রিকেটে ফিরবেনই। এবং এক্ষেত্রে তার কাছে অনুপ্রেরণা ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। মোশাররফ বলেন, আসন্ন এনসিএলে (ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ) থেকে আমি খেলা শুরু করতে চাই। শারীরিক দিক থেকে আমি কি অবস্থায় রয়েছি সেটা একটা ম্যাচ খেলার পরই বুঝতে পারব। এই মুহূর্তে ফিটনেস অর্জন করাই আমার একমাত্র চ্যালেঞ্জ এবং আমি সেই চেষ্টাই করছি। ফিটনেস অর্জন করতে পারলে আমি নিশ্চিতভাবে খেলতেও পারব। প্রথম একাদশে স্থান পেতে ব্যাট ও বল হাতে যা যা করতে হবে তার জন্য আমি প্রস্তুত।
ক্যানসারকে পরাজিত করে ক্রিকেটে ফিরে নজির সৃষ্টি করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। ফিরে আসার লড়াইয়ে তাকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে মানছেন মোশাররফ। তিনি বলেন, যুবরাজ সিং অতীতে এটি প্রমাণ করেছেন এবং আমি সেটা থেকেই অনুপ্রাণিত। তাই আমার বিশ্বাস, আমি এখনও খেলতে পারি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলেন যুবরাজ। ১৯৮৩ সালের পর ফের এই ফর্ম্যাটে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। কিন্তু তার পরই যুবরাজের জীবনে নেমে আসে অ্যান্টিক্লাইম্যাক্স। জানা যায়, তিনি ক্যানসারে ভুগছেন। লড়াই কঠিন ছিল। তবে চোয়াল শক্ত করে লড়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মারণ রোগকে পরাজিত করে ২২ গজে ফিরে আসেন যুবি। তার এই হার না মানা মানসিকতা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য