মাঠ হোক কিংবা মাঠের বাইরে, তাকে কেন্দ্র করে বারবার বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এবার ফের একবার তিনি সমস্যায় পড়লেন। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার জেসি রাইডার মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর কথা স্বীকার করেছেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি নেপিয়ারে তারাডেল রোডে জেসি রাইডারকে আটক করা হয়। তখন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তার শরীরে নির্ধারিত মাত্রার থেকে বেশি অ্যালকোহল ছিল। অ্যালকোহল থাকার বৈধ সীমা হল ২৫০ এমসিজি, তবে রাইডারের শরীরে পাওয়া অ্যালকোহলের পরিমাণ ছিল লিটারপ্রতি ৮৭৩ মাইক্রোগ্রাম। প্রাক্তন ব্ল্যাক ক্যাপস ওপেনিং ব্যাটসম্যান বুধবার নেপিয়ার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে তার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকা আইনজীবী জেমস রেইঙ্গার অপরাধ স্বীকার করেছেন। এর পর জেসি রাইডারকে নয় মাসের পর্যবেক্ষণ এবং তারপর প্রয়োজন হলে মাদক অথবা মদ্যপান থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ব্রিজেট ম্যাকিনটোশ। মার্চের শেষ পর্যন্ত রাইডার গাড়ি চালাতে পারবেন না। এই সময়সীমার পর তিনি ফের গাড়ি চালানোর জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে তার গাড়িতে ব্রিদ অ্যালকোহল ইগনিশন ইন্টারলক ডিভাইস নামে একটি যন্ত্র রাখা হবে।
মদ্যপানের প্রভাব পড়েছে জেসি রাইডারের ক্রিকেট কেরিয়ারে
জেসি রাইডারকে শেষবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল ২০১৪ সালে। মাঠের বাইরে মদ্যপান সংক্রান্ত একাধিক ঘটনায় তিনি জড়িত থাকার পর নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দলের নির্বাচকরা তাকে আর দলে অন্তর্ভুক্ত করেননি। শুধু মদ্যপান নয়, সমসাময়িক ক্রিকেট রাজনীতির কারণেও তার কেরিয়ারে অসময়ে দাঁড়ি পড়েছে। তবে তার কেরিয়ারগ্রাফ নিচে যাওয়ার পিছনে মদ্যপান প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। ২০০৯ সালে ৭ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওডিআই ম্যাচের পর গভীর রাত পর্যন্ত মদ্যপান করেন জেসি রাইডার। এর দরুণ পরের দিন সকালে তিনি টিম মিটিংয়ে উপস্থিত হতে পারেননি। পরের ম্যাচে তাকে বাদ দেওয়া হয়। জেসি রাইডার এক সময় ভালো ব্যাটসম্যান ছিলেন। তবে একই সময়ে মদের প্রতি তার আসক্তি তৈরি হয়। এই সমস্যা থেকে বের করার জন্য নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সিইও জাস্টিন ভন তাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত ছিলেন। তবে তাতে বিশেষ কাজ হয়নি।
২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের হয়ে রাইডার ১৮টি টেস্ট, ৪৮টি ওডিআই এবং ২২টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে তিনি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং ওডিআইতে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ব্যাটিংয়ের দক্ষতা ছাড়াও রাইডার তিনি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে দলকে সাহায্য করতেন। ২০০২ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে তিনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে স্ট্যাগসের হয়ে রাইডার তার শেষ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন। সেই মরসুমে তার দল প্লাঙ্কেট শিল্ড খেতাব জিতে নিয়েছিল। তবে ২০১৮-১৯ মরসুমের জন্য তাকে চুক্তি প্রদান করা হয়নি। গত গ্রীষ্মে নেপিয়ার টেকনিকাল ওল্ড বয়েজের খেলোয়াড়-কোচ হিসেবে জেসি রাইডার সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ন্সকে পর পর জাতীয় ক্লাবের ট্রফি এনে দিয়েছিলেন। ক্যান্টারবিউরি ক্লাব সেন্ট অ্যালবানসের বিরুদ্ধে তাদের জয় স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য