টিম ইন্ডিয়ার একজন অন্যতম সফল কোচ হিসেবে বিবেচিত হন গ্যারি কার্স্টেন। ২০০৯ সালে টেস্টে আইসিসির ক্রমতালিকায় এক নম্বর স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয় ভারত। দু বছর পর ২০১১ সালে ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। দলের এই সাফল্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন গ্যারি কার্স্টেন। তবে ঘটনা হল, টিম ইন্ডিয়ার কোচের ভূমিকা পালন করার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না কার্স্টেনের। সুনীল গাভাস্কারের কাছ থেকে একটা আমন্ত্রণ পাওয়ার পর তিনি এই ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ নির্বাচন কমিটির একজন সদস্য ছিলেন গাভাস্কার। তিনি কার্স্টেনকে বলেছিলেন, তিনি ভারতের কোচ হওয়ার ব্যাপারটি বিবেচনা করবেন কি না।
টকস্পর্টের একটি পডকাস্টে কার্স্টেন জানিয়েছেন, অদ্ভূতভাবে তিনি টিম ইন্ডিয়ার কোচ হয়েছিলেন। তিনি বলেন, সুনীল গাভাস্কারের থেকে আমি একটা ইমেল পেয়েছিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, টিম ইন্ডিয়ার কোচ হওয়ার বিষয়টি আমি বিবেচনা করব কি না। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আমার সঙ্গে বোধহয় মস্করা করা হচ্ছে। আমি সেই ইমেলের জবাব দিইনি। তিনি আমাকে ফের একটা ইমেল করে বলেন, ‘আপনি কি ইন্টারভিউ দিতে আসবেন?’ আমি দ্বিতীয় ইমেলটা আমার স্ত্রীকে দেখাই। এবং তিনি বলেন, তারা নিশ্চই ভুলবশত এই ইমেল পাঠিয়েছে। সুতরাং সমগ্র বিষয়টা নিয়ে একটা অদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমার আগের কোনো কোচিং অভিজ্ঞতা ছিল না।
আমাকে যে চুক্তিপত্র দেওয়া হয় তাতে গ্রেগ চ্যাপেলের নাম লেখা ছিল: গ্যারি কার্স্টেন
কার্স্টেনকে প্রথমে দু বছরের চুক্তি দেওয়া হয়। তবে ২০১০ সালে সেটি পরবর্তী বছরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। পরে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হয়েছিলেন। এদিকে সুনীল গাভাস্কারের ইমলে অনুযায়ী ইন্টারভিউ দিতে হাজির হন কার্স্টেন। তবে সেখানে গিয়ে তিনি নির্বাচন প্যানেলে গাভাস্কারের বদলে রবি শাস্ত্রীর মুখোমুখি হয়েছিলেন। কার্স্টেনের কথায়, কমিটিতে থাকা রবি শাস্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, ‘গ্যারি এটা বলুন দক্ষিণ আফ্রিকার দল হিসেবে আপনারা ভারতকে পরাজিত করার জন্য কি করতেন?’ আমার মনে হয়েছিল কথোপকথন শুরু করার ক্ষেত্রে এটা একটা ভালো প্রশ্ন। কারণ আমি এটার উত্তর দিতে পারব। আমি দু-তিন মিনিটে এর উত্তর দিয়েছিলাম। তবে আজ পর্যন্ত আমরা যেসব রণকৌশল ব্যবহার করি সেসব না বলেই আমি উত্তর দিয়েছিলাম। কার্স্টেন যোগ করেন, বোর্ডের অন্যান্যদের মতো আমার জবাবে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। কারণ তার তিন মিনিট পরে বোর্ডের সেক্রেটারি আমার দিকে চুক্তিপত্র বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
কার্স্টেন আরও জানান, চুক্তিপত্রে বিদায়ী কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের নাম লেখা ছিল। কার্স্টেন বলেন, আমি চুক্তিপত্রটা হাতে নিয়ে প্রথম পাতায় আমার নাম উদভ্রান্তের মতো খুঁজছিলাম। তবুও আমার নাম খুঁজে পাইনি। তার বদলে দেখলাম সেখানে লেখা রয়েছে গ্রেগ চ্যাপেলের নাম, যিনি দলের আগের কোচ ছিলেন। আমি তখন চুক্তিপত্রটা ফেরত দিয়ে বলি, ‘স্যার ধন্যবাদ। পূর্বেকার কোচের চুক্তিপত্র আপনি আমাকে দিয়েছেন।’ তিনি তখন কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে চুক্তিপত্রটি দেখলেন। তারপর পকেট থেকে একটা পেন বের করে সেটা (গ্রেগ চ্যাপেলের নাম) কেটে দিয়ে আমার নাম লিখলেন।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য