টিম ইন্ডিয়ার অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সম্প্রতি নির্বাচক এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে যোগাযোগের খামতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। যুবরাজ সিং থেকে সুরেশ রায়না, অনেকই নির্বাচক এবং সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে যোগাযোগের খামতি নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন। এমনকি তারা এমনটাও বলেছেন যে যদি সম্ভব হয় তাহলে আরও ভালোভাবে সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছে নির্বাচকদের নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।

উপরে উল্লিখিত বিষয় সম্পর্কে বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছেন গৌতম গম্ভীর, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত এবং নির্বাচকদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদ। গম্ভীর জানিয়েছেন যে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অধিনায়কের সংযুক্ত থাকা উচিত। শুধু তাই নয়, অধিনায়ককেও একজন নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন গম্ভীর। এদিকে ভারতের প্রাক্তন ওপেনারের এই পরামর্শে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ বলেন, একজন অধিনায়ক সর্বদা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট কানেক্টেড অনুষ্ঠানে গম্ভীর বলেন, এবার অধিনায়কেরও নির্বাচক হিসেবে ভূমিকা পালন করা উচিত। অধিনায়ক এবং কোচকে নির্বাচক করা উচিত। প্রথম একাদশের ব্যাপারে নির্বাচকদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত নয়। নির্বাচিত দলের দায়িত্ব অধিনায়ক এবং কোচ ঝেড়ে ফেলতে পারেন না।

গম্ভীরের বক্তব্য প্রসঙ্গে এমএসকে প্রসাদ বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সব সময়ই অধিনায়কের বলার অধিকার থাকে। এখানে দ্বৈত কোনো রাস্তা নেই। তার কোনো ভোট নাও থাকতে পারে। আমাদের সংশ্লিষ্ট আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অধিনায়কের মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে তবে তার ভোটাধিকার নেই।

এর পাশাপাশি ২০১৯ সালের ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দল থেকে আম্বাতি রাইডুর অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার বিতর্ক প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেছেন গম্ভীর। তার বদলে বিজয় শঙ্করকে দলে নেওয়ার পর এমএসকে প্রসাদকে উদ্দেশ্য করে বিখ্যাত ‘৩ডি’ ট্যুইট করেন রাইডু।

ইংল্যান্ডে বল হাতে সহায়ক হতে পারতেন বিজয় শঙ্কর: এমএসকে প্রসাদ

গম্ভীর বলেন, তারা ৪ নম্বর পজিশনের জন্য কাউকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। একটা স্থান তাদের চিহ্নিত করতে হত এবং তারা সেটা করতে পারেননি। দেখুন আম্বাতি রাইডুর সঙ্গে কি ঘটেছে- আপনি তাকে দু বছরের জন্য বেছে নিয়েছেন। দু বছর ধরে তিনি ৪ নম্বরে ব্যাট করলেন। এবং বিশ্বকাপের ঠিক পূর্বে আপনাদের ৩ডির প্রয়োজন হল? নির্বাচকদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আপনি কি এরকম একটি বিবৃতি দেখতে চান যেখানে আমাদের একজন ৩-ডি ক্রিকেটার প্রয়োজন?

নিজের সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়ে প্রসাদ বলেন, প্রথমেই যে জিনিসটা স্পষ্টভাবে বলব যে শীর্ষে সবাই একজন ব্যাটসম্যান- শিখর, রোহিত এবং বিরাট। সেখানে এমন কেউ ছিলেন না যারা বল করতে পারেন। এবং বিজয় শঙ্করের মতো একজন যিনি টপ অর্ডারে ব্যাট করতে পারেন আবার ইংল্যান্ডের পরিবেশে বোলিংয়েও সহায়ক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন।

এই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন কে শ্রীকান্ত। তিনি বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে বিশাল তফাৎ রয়েছে। তার কথায়, গম্ভীরকে সমর্থন করছি না বা এমএসকের কথার গুরুত্ব হ্রাস করছি না। তবে ঘটনা হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। পরে প্রসাদ বলেন, আমি এই ব্যাপারে চিকার সঙ্গে একমত। তবে আপনাকে এটা বুঝতে হবে যে সব সময় অভিজ্ঞতাই একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না। এই প্রক্রিয়ায় ক্রিকেটাররা বাদ যেতে পারেন।