অভিজ্ঞ ভারতীয় ক্রিকেটার এমএস ধোনি মেজাজ ঠাণ্ডা রাখার জন্য পরিচিত। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি অবিচলিত থাকতে পারেন। অন্তত বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যাবে না তার ভিতরে কি চলছে। এই কারণেই মাহিকে তার ভক্তরা আদর করে নাম দিয়েছেন ক্যাপ্টনে কুল। যদিও এবার কিছুটা অন্য গল্প শোনালেন তার প্রাক্তন সতীর্থ তথা ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীর। তিনি বলেছেন, ঝাড়খণ্ডের এই ক্রিকেটারকে তিনি আবেগে গা ভাসাতেও দেখেছেন।
ধোনির সঙ্গে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১২৬টি ওডিআই, ৩৯টি টেস্ট এবং ৩৭টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অবসর গ্রহণ করার পর থেকে দিল্লির সন্তান গম্ভীর একাধিকবার ধোনি এবং তার অধিনায়কত্বের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজে ধোনির রোটেশন পলিসির কোনো অর্থ ছিল না। এছাড়া গম্ভীর জানিয়েছেন, ক্যাপ্টেন কুল হিসেবে পরিচিত হলেও বেশি কিছু ক্ষেত্রে মেজাজ হারিয়েছেন এমএস ধোনি।
সেটা করা মোটেও ভুল কিছু নয়: গৌতম গম্ভীর
প্রথমত, ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের শোচনীয় পারফরমেন্সের সময় ধোনির সঙ্গে খুশি ছিলেন না গম্ভীর। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয়ের পর সেবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ স্তর থেকেই বিদায় নিয়েছিল ভারত। এছাড়া গম্ভীর জানিয়েছেন, ধোনিকে তিনি মেজাজ হারাতে দেখেছেন। অবশ্য এর মধ্যে ভুল কিছু দেখছেন না ভারতের প্রাক্তন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। গম্ভীর বলেন, ধোনিও একজন মানুষ। সুতরাং এই ধরণের আবেগের বহিঃপ্রকাশ খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট কানেক্টেড অনুষ্ঠানে গম্ভীর বলেন, লোকজন বলেন যে তারা ধোনিকে কখনো মেজাজ হারাতে দেখেননি। তবে আমি তাকে বেশ কয়েকবার রেগে যেতে দেখেছি। ২০০৭ বিশ্বকাপ এবং অন্যান্য বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তিনিও একজন মানুষ। তাই ওই ধরণের প্রতিক্রিয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। সেটার পিছনে ভুল কিছু দেখছি না।
তবে গম্ভীর স্বীকার করেছেন, তিনি ধোনির মতো এতটাও শান্ত নন। গম্ভীর বলেন, এমনকি সিএসকেতেও কেউ যদি মিসফিল্ড করেন বা একটা ক্যাচ ফেলে দেন, তবুও ধোনি ঠাণ্ডা মাথায় থাকেন। অন্যান্য অধিনায়কদের তুলনায় তার মাথা কিছুটা বেশি ঠাণ্ডা সেটা বলা যেতে পারে। আমার থেকেও যে আরও ঠাণ্ডা মাথার সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই!
আইপিএলের গত মরসুমে একটি বিরল দৃশ্য দেখা যায়। জয়পুরে সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ চলাকালীন মেজাজ হারান ধোনি। এমনকি ডাগআউট থেকে বেরিয়ে মাঠে নেমে অনফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে তিনি রীতিমতে তর্ক জুড়ে দেন। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে একটি নো বল বাতিল করার সিদ্ধান্তে আম্পায়ারে উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন মাহি। যদিও সেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর তিনি আম্পায়ারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আইপিএলের আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় মাহির ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয়েছিল।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য