কিছুদিন আগে খবরের শিরোনামে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ডিরেক্টর হিসেবে তার নাম ভেসে ওঠে। ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে প্রোটিয়াদের ক্রিকেট, এই পরিস্থিতিতে স্মিথের মতো অভিজ্ঞ একজনের অভিজ্ঞতা সেদেশের ক্রিকেটকে সঠিক দিশা দেখাতে পারে।

তবে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার কিছু দিন পর শোনা যায়, স্মিথ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট প্রশাসনের শীর্ষ পদ থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কারণ তিনি বিষয়টি নিয়ে আরও ভাবতে চান। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ক্রিকেট বিশ্বকাপে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে কোলপাল চুক্তির কারণে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক খেলোয়াড়ের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সকল খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের বদলে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্মিথ বলেন, আমি ওই ভূমিকা (দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ডিরেক্টর) পালন করতে পারলে খুব খুশি হতাম। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হতাশাজনক আলোচনার পর প্রাথমিক পরিবর্তনগুলির জন্য আমি প্রয়োজনীয় সমর্থন ও আত্মবিশ্বাস পাইনি।

শোনা যাচ্ছিল, স্মিথ ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। ২০২৩ সালের ভারতের বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রোটিয়াদের ক্রিকেট প্রশাসনের দায়িত্বে থাকার কথা ছিল স্মিথের। তবে সোমবার তিনি বলেন, এরকম কোনো চুক্তিতে তিনি স্বাক্ষর করেননি। ট্যুইট করে স্মিথ বলেন, মিডিয়া রিপোর্টের বিপক্ষে গিয়ে বলতে হয়, সিএসএর ডিরেক্টর হিসেবে আমাকে নিয়োগ করা হয়নি। পূর্বের পরামর্শ অনুযায়ী আমি ওই পদের জন্য আমার আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তবে আমি বর্তমানে সিএসএর সঙ্গে আলোচনা করছি। আমার মূল চিন্তার বিষয়গুলি আমি তাদেরকে পুনরায় জানিয়েছি।

বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার কার্যকরী ক্রিকেট ডিরেক্টরের পদে রয়েছেন প্রাক্তন কোচ কোরি ভ্যান জিল, যাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গত মাসে এই পদের জন্য স্মিথের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক তার নাম প্রত্যাহার করেছেন। তিনি বলেন, দেশের ক্রিকেট ব্যবস্থার উন্নয়নে আমার প্যাশন এতটুকুও কমেনি। যে এই ভূমিকা গ্রহণ করবেন তাকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। আমি এখনও টিমকে সমর্থন করছি এবং তাদের পাশে আছি।