ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন খেলোয়াড় যুবরাজ সিং সোশ্যাল মিডিয়াতে স্পষ্টভাষণের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, গত বছরের বিশ্বকাপে খেলার জন্য অন্যতম যোগ্য প্রার্থী ছিলেন আম্বাতি রাইডু। এর জন্য তিনি ভারতীয় নির্বাচকদের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। প্রসঙ্গত, আইপিএল ২০১৯ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি ওডিআই ম্যাচে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে তাকে রাইডুকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই প্রথমবার নয়, গত বছরের বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে আগেও এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। হায়দরাবাদের এই ক্রিকেটারকে ব্যাকআপ খেলোয়াড়দের তালিকায় রাখা হয়েছিল। ঋষভ পন্থের বদলি হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের ভারতীয় দলে রাইডুর স্থান হয়নি।

ফের যুবরাজের নিশানায় নির্বাচকরা

একটি লাইভ সেশনে যুবরাজ সিং বলেন যে, কোন যুক্তির ভিত্তিতে নির্বাচকরা বিশ্বকাপ দলে বিজয় শঙ্করকে বেছে নিলেন এবং পরে বদলি হিসেবে ঋষভ পন্থের অন্তর্ভুক্ত করলেন তা তিনি বুঝতে পারেননি। এই খেলোয়াড়গুলির তখন সর্বোচ্চ স্তরে খেলার মতো যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল না এবং তাদের থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে ভালো পারফরমেন্সের প্রত্যাশ্যা করাও সঠিক নয় বলে মনে করেন যুবরাজ।

৩৮ বছর বয়সী প্রাক্তন ক্রিকেটার আরও বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯০ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন রাইডু। প্রাক্তন খেলোয়াড় আরও জানিয়েছেন যে, আইপিএল ২০১৯-এর পারফরমেন্স দেখার পর রাইডুকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। যুবরাজ মনে করেন যে, ফের একটা টি-২০ বিশ্বকাপ আসছে এবং সেইরকম ক্রিকেটারদের বদলে নতুন নির্বাচকদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বেছে নিতে হবে। যুবির কথায়, ২০১৯ সালে আমি বুঝতে পারিনি কোন যুক্তিতে মিডল অর্ডার তৈরি করা হয়েছিল। (বিজয়) শঙ্করকে ৪ নম্বরে বেছে নেওয়া হয়। এবং পরে তার স্থানে আসেন ঋষভ পন্থ। এই খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপের পূর্বে ৪-৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন। তারা কঠিন পরিস্থিতির কোনো ম্যাচে পারফর্ম করেননি। অথচ আমরা তাদের সমালোচনা করি। তাদের (ভারতীয় দলের নির্বাচকদের) পরিকল্পনা কি? নিউজিল্যান্ডে রাইডু ৯০ রান করেছিলেন এবং তারা শেষ মুহূর্তে তাকে বাদ দিলেন। নিখিল নিয়াজের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে তিনি আরও বলেন, নিউজিল্যান্ডে ৯০ রান করা রাইডু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং তারপর তাকে ভারতীয় স্কোয়াডে রাখা হয়নি। কারণ আইপিএলে তিনি ভালো খেলতে পারেননি। যেসমস্ত খেলোয়াড় ৩-৫টি ম্যাচ খেলেছেন তাদের নিয়ে বিশ্বকাপের দলে অংশগ্রণ করা যায় না। বিশ্বকাপের মতো একটা বড় ইভেন্টে যাওয়ার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা থাকা প্রয়োজন। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ছেলেরা অনেকদিন ধরেই খেলছে। এবার অভিজ্ঞ দল বেছে নেওয়া প্রয়োজন। শেষ মুহূর্তে আপনি যদি এমন একজন খেলোয়াড়কে বেছে নেন, কারণ তাকে আপনার কেবলমাত্র ভালো লাগে, তাহলে যে খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়া হচ্ছে সেটা ঠিক নয়।