পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ইংল্যান্ড সফরের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) উদ্যোগে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই পরীক্ষায় মহম্মদ হাফিজ সহ পাকিস্তানের মোট ১০ জন ক্রিকেটারের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বুধবার হাফিজ জানান, নিজের সন্তুষ্টির জন্য তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন এবং তার নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। ট্যুইটারে এই খবর জানিয়েছিলেন পাক ক্রিকেটার। হাফিজের এই পদক্ষেপে বেজায় চটেছে পিসিবি।

পিসিবির সিইও ওয়াসিম খান বুধবারই হাফিজকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তার পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট পিসিবি। সেই কথোপকথনের সময় হাফিজকে বলা হয়, টেস্টিং প্রোটোকল অমান্য করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা পরীক্ষা করানোর আগে বোর্ডের সঙ্গে তার কথা বলা উচিত ছিল। ওয়াসিম খান আরও বলেন, অতীতেও হাফিজ এরকম অনেক নিয়ম অমান্য করেছেন। বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার আরও সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করে পিসিবি। ক্রিকেট বাজ ইউটিউব চ্যানেলে পিসিবির সিইও বলেন, আমি হাফিজের সঙ্গে কথা বলেছি এবং স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি যে তিনি যেভাবে সমগ্র বিষয়টি সামলেছেন তাতে আমরা অত্যন্ত হতাশ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর অধিকার রয়েছে কিন্তু সে ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে তার কথা বলা উচিত ছিল। কারণ তিনি আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করেছেন। এটা প্রথম নয় যে সংবাদমাধ্যমের সমানে হাফিজ আমাদের নিয়ম অমান্য করলেন। তার কেন্দ্রীয় চুক্তি নেই। তবে পাকিস্তান দলে অন্তর্ভুক্ত হলে দলের সমস্ত নিয়ম, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত নিয়ম সমস্ত খেলোয়াড়কে মেনে চলতে হবে। আমরা এখনও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কারণ এর দরুণ আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

সমস্ত খেলোয়াড়দের পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে পিসিবি

এদিকে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় মহম্মদ হাফিজের নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর ২৯ জন খেলোয়াড়ের পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। যেসমস্ত খেলোয়াড়ের নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তারা লাহোরে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সেখানে তাদের দ্বিতীয়বার পরীক্ষা হবে। কোভিড আক্রান্ত এদিকে ১০ জন্য খেলোয়াড় এবং একজন সাপোর্ট স্টাফ বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন। ২৬ জুন বাড়িতেই তাদের পুনরায় পরীক্ষা হবে। ২৮ জুন পাকিস্তান দলের ম্যাঞ্চেস্টারগামী বিমানে ওঠার কথা। সেখানে পৌঁছে ডার্বিশায়ারে তারা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। সেখানেই তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।