করোনাভাইরাস প্রকোপের পর এখন ক্রিকেটাররা সোশ্যাল মিডিয়াতে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের অনুরাগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে দেখা যায়। অনেকে আবার তাদের সতীর্থদের সঙ্গে লাইভ সেশনে অংশগ্রহণ করেন। এদিকে প্রাক্তন পাক স্পিনার সাকলিন মুস্তাক সম্প্রতি অনেক বিখ্যাত মিডিয়া হাউজের সঙ্গে লাইভ সেশনে অংশগ্রহণ করেন। সেই কথোপকথনের সময় তিনি জানিয়েছেন, যখন তিনি পাকিস্তানের হয়ে খেলছিলেন তখন তার দৃষ্টিশক্তির সমস্যা নিবারণে অনিল কুম্বলে তাকে সাহায্য করেছিলেন। ক্রিকেটের ইতিহাসে সাকলিন মুস্তাককে একজন অন্যতম কিংবদন্তী স্পিনার হিসেবে গণ্য করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে অসাধারণ স্পিন বোলিংয়ের সাহায্যে তিনি ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছেন। তিনি পাকিস্তান দলে ‘দুসরার’ সূচনা করেন। এই অস্ত্রের উপর ভরসা করে তিনি অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন।
অনিল কুম্বলে তাকে কিভাবে সাহায্য করেছিলেন সেকথা স্মরণ করলেন সাকলিন মুস্তাক
লাইভ সেশনের সময় তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে তার দৃষ্টিশক্তির সমস্যার সমাধানে অনিল কুম্বলে তাকে সাহায্য করেছিলেন। ৪৩ বছর বয়সী প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ভালো চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকায় তিনি এই ব্যাপারে অনিল কুম্বলের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই কুম্বলে তাকে ডা. ভরত রুগানির নম্বর দিয়েছিলেন। কুম্বলে বলেছিলেন, তিনি ভালো চিকিৎসক। পরে চিকিৎসার জন্য তার কাছে গিয়েছিলেন মুস্তাক। ওই চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, মুস্তাকের চোখে ছানি রয়েছে। মুস্তাককে তিনি লেন্স প্রদান করেছিলেন। সাকলিন মুস্তাকের মতে, অনিল কুম্বলে তার কাছে বড় ভাইয়ের মতো। ভারতীয় স্পিনারের সৌজন্যেই তিনি নিজের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
স্পোর্টস্টারের সঙ্গে লাইভ সেশন চলাকালীন সাকলিন বলেন, আমরা তখন ইংল্যান্ডে ছিলাম। আমি অনিল ভাইকে বলেছিলাম, আমাদের দেশে ভালো চক্ষু বিশেষজ্ঞের সংখ্যা কম। তাই আমার সমস্যা হচ্ছে। তিনি যদি কোনো ভালো অপথ্যালমোলোজিস্টের সন্ধান দিতে পারেন, তাহলে ভালো হয়। সেই অনুযায়ী তিনি ডা. ভরত রুগানিকে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি জানান, এমনকি (সৌরভ) গাঙ্গুলিও তার কাছে চিকিৎসা করান। তিনি আমাকে চিকিৎসকের যোগাযোগ নম্বর দিয়েছিলেন। আমি হার্লে স্ট্রিটে (লন্ডনে) তার কাছে গিয়ে চোখ দেখাই। আমার চোখ পরীক্ষা করার পর চিকিৎসক আমাকে লেন্স দিয়েছিলেন। আমার ছানি হয়েছিল। আমার দৃষ্টিশক্তি ছিল সিলিন্ড্রিকাল। এছাড়া আমার চোখ দুর্বল ছিল। পাকিস্তানে আমি অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। কেউ আমার সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অনিল ভাইয়ের দৌলতে আমি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। তার দৌলতেই আমি সুস্থ হয়েছি। তিনি একজন অমূল্য ব্যক্তি।
এছাড়া সাকলিন মুস্তাক জানিয়েছেন, খেলার সময় অনিল কুম্বলের সঙ্গে তার অনেক ভালো স্মৃতি রয়েছে। যখনই তাদের দেখা হত, তারা অনেক কথাবার্তা বলতেন। এছাড়া সিরিজের মাঝেই যে কেউ তার কাছে গিয়ে পরামর্শ চাইতেন। কোনো খেলোয়াড়কেই বিভ্রান্ত না করে তিনি পরামর্শ দিতেন। আজকের তারিখে দাঁড়িয়েও তিনি ভারতের প্রাক্তন স্পিনার ৪৯ বছর বয়সী কুম্বলেকে সম্মান করেন বলে জানিয়েছেন সাকলিন মুস্তাক। তিনি বলেন, আমাদের সংস্কৃতি এটাই শিখিয়েছে যে বড়দের সম্মান করতে হয়। অনিল ভাই আমার কাছে বড়দার মতো। যখনই আমাদের দেখা হয়, নানা বিষয়ে কথা হয়। এমনকি আমাদের খেলার দিনগুলিতেও সিরিজের মাঝে আমরা তার কাছে গিয়ে পরামর্শ চাইতাম। তিনি প্রয়োজনীয় টিপস সহ সাহায্য করতেন এবং কখনোই কাউকে বিপথে চালিত করতেন না। তার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা আছে।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য