করোভাইরাস প্রকোপের পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ক্রিকেটাররা। অনেকে ইনস্টাগ্রামে লাইভ সেশন নিয়ে ব্যস্ত, অনেকে আবার কোভিড-১৯ এর ব্যাপারে অনুরাগী সহ অন্যান্যদের সচেতন করার দায়িত্ব নিয়েছেন। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়াতে অনুরাগীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন। এদিকে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হবু স্ত্রী ভিনি রামান তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন।

চলতি বছরের ১৭ মার্চ দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ভিনি রামানের সঙ্গে বাগদান পর্ব সারেন ম্যাক্সওয়েল। সেই এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানের বেশ কিছু দুর্দান্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সব ছবিতে দেখা যায়, ট্রাডিশনাল ভারতীয় পোশাক পরে অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন ম্যাক্সওয়েলের পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে এই যুগলকে দেখতে দারুণ লাগে। তাদের বেশ মানানসই মনে হয়। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ থেকে তারা কখনো দ্বিধা বোধ করেন না।

২০১৩ সালে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ভিনি রামানের প্রথম দেখা হয়েছিল

সবাই যখন কোয়ারেন্টাইনে, তখন ৩১ বছর বয়সী অজি ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছেন ভিনি রামান। তাদের কবে প্রথম দেখা হয়েছিল থেকে শুরু করে, দুজনের মধ্যে কে ভালো রান্না করেন – সমস্ত তথ্য জানিয়েছেন রামান। তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রামান জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রথমবার দেখা হয়েছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। তারপর দু বছর চার মাস তারা ডেটিংয়ে ছিলেন। এছাড়া ভিনি রামান আরও জানিয়েছেন যে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তাকে প্রথম প্রোপোজ করেছিলেন। এর পাশাপাশি রামান জানিয়েছেন, তার তুলনায় ম্যাক্সওয়েল ভালো গাড়ি চালাতে পারেন।

তার জীবনে ভিনি রামান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, সে ব্যাপারে সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি জানিয়েছিলেন, মানসিক অবসাদের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতি গ্রহণ করার পর কে সর্বদা তাকে সাহায্য করেছেন, তার  পাশে থেকেছেন এবং এই চ্যালেঞ্জ জয় করতে সহায়তা করেছেন। ম্যাক্সওয়েল জানিয়েছেন, তিনি যখন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, তখন তার মেজাজ, সমস্ত ঝামেলা সামলেছেন ভিনি রামান। ম্যাক্সওয়েলের কথায়, মানসিক অবসাদের ব্যাপারে কারুর সঙ্গে কথা বলার প্রথম পরামর্শ তিনিই দিয়েছিলেন। আমার মধ্যে অস্বাভাবিক ব্যাপারটা তিনিই প্রথম খেয়াল করেছিলেন। সুতরাং তাকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে। সেই প্রাথমিক কথোপকথনের পর আমার কাঁধের বোঝা অনেকটাই হালকা হয়েছিল। আমার প্রেমিকাই সম্ভবত সেরা। প্রথম কয়েক সপ্তাহ যখন আমার মেজাজে হঠাৎ হঠাৎ পরিবর্তন হচ্ছিল, সেটা তার পক্ষে সামলানো বেশ কঠিন ছিল। ফক্স স্পোর্টসে প্রকাশিত ম্যাক্সওয়েলের বক্তব্য, তবে এই ব্যাপারে মাইকেল লয়েডের সঙ্গে আমি প্রথমবার কথা বলি। তিনি হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যার কাছে ছাত্র জীবন থেকেই আমি অনেক গোপন কথা বলেছি। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাকে আমি চিনি।