আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তার অনুপস্থিতির জেরে এমএস ধোনির অবসর জল্পনা নিয়ে ইন্টারনেটে জোরদার চর্চা চলছে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক শেষবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচের পর টিম ইন্ডিয়ার হয়ে আর তাকে খেলতে দেখা যায়নি।

আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ধোনির অনুপস্থিতির জেরে তার অনুরাগীরা অত্যন্ত হতাশ। এছাড়া বার্ষিক চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের তালিকা থেকে ধোনির নাম বাদ দিয়েছে বিসিসিআই। তারপর থেকে এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের অবসর জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রিকেট ক্রিজ থেকে রাঁচির এই খেলোয়াড় প্রায় এক বছর হতে চলল দূরে রয়েছেন। অনেক অনুরাগী আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার প্রত্যাবর্তন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বহু প্রতিক্ষিত আইপিএল ২০২০-তে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাঠে নামবেন বলে ঠিক হয়েছিল। দলের হয়ে তাকে ট্রেনিং করতেও দেখা যায়। যদিও কোভিড-১৯ মহামারির জেরে এই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যারা ধোনির অন্ধ-ভক্ত, তাদের কাছে এখন হতাশা এবং দুঃখ ছাড়া আর কিছু নেই। কারণ তাদের প্রিয় তারকা ফের কবে ক্রিকেট মাঠে নামবেন, তা বলা যাচ্ছে না।

জাতীয় দলে ধোনির কামব্যাকের জন্য সওয়াল করলেন দীপ দাশগুপ্ত

অনেক প্রাক্তন খেলোয়াড় এবং ক্রিকেট ফ্রেটারনিটির অনেকে ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিমধ্যে মন্তব্য করেছেন। ক্রিকট্র্যাকারের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে এই ব্যাপারে নিজের মতামত প্রকাশ করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার দীপ দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, জাতীয় দলের প্রত্যাবর্তন করার আগে ধোনিকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে হবে। দীপের মতে, ধোনির খিদেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে। ইনস্টাগ্রাম লাইভে ধোনি বলেন, যদি এমএস ধোনি না অবসর গ্রহণ করেন, তাহলে নিশ্চিতভাবে তার কথা নির্বাচকদের মাথায় থাকবে। আমি একমাত্র যে বিষয়টি এখানে উল্লেখ করব তা হল, জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের আগে তাকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে হবে। রান করুক বা নাই করুক, তার কাছে ঘরোয়া ক্রিকেট তেমন প্রাসঙ্গিক নয়। তবে এটার মাধ্যমে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলার জন্য তার যে খিদে রয়েছে, সেটা প্রতিফলিত হবে।

এর আগে টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আইপিএল পারফরমেন্সের উপর ধোনির জাতীয় দলের প্রত্যাবর্তন নির্ভর করবে। যদিও করোনাভাইরাস প্রকোপের জেরে এই টুর্নামেন্টের সম্ভাবনা আপাতত অত্যন্ত ক্ষীণ। সুতরাং আপাতভাবে মনে হচ্ছে, জাতীয় দলে ধোনির কামব্যাকের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হওয়া আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।