ভারতীয় ক্রিকেটে ইয়ো ইয়ো ফিটনেস টেস্ট যখন প্রথমবারের জন্য প্রচলন করা হয়, তখন থেকেই বিষয়টা নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য এই টেস্ট বাধ্যতামূলক করে দেওয়ায় অনেকে অখুশী হয়েছিলেন। ইয়ো ইয়ো টেস্ট ব্যর্থ হওয়ার দরুণ ইংল্যান্ড সফরের আগে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন আম্বাতি রাইডু। তারপরই বিরাট কোহলি এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

আধুনিক ক্রিকেটে ফিটনেস নিয়ে সম্প্রতি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন মহম্মদ কাইফ। তাছাড়া তিনি মনে করেছিলেন যে, কেবলমাত্র লক্ষ্মীপতি বালাজি এবং যুবরাজ সিং হয়তো ইয়ো ইয়ো টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারতেন যদি এটা তাদের সময়ে চালু করা হত। কাইফ যে দলে খেলেছিলেন, ইরফান পাঠানও সেই দলের অংশ ছিল। তাই মজা করে ইরফান তাকে খোঁচা মারেন। গত সোমবার মহম্মদ কাইফের সঙ্গে ইউসুফ পাঠানের লাইভ সেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইরফান পাঠান। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তারা কি ছোলা বিক্রি করছিলেন যে তাদের কথা কাইফের মাথায় এল না! প্রসঙ্গত, ইরফানদের আমলে খেলোয়াড়দের ফিটনেস নির্ধারণের জন্য বিপ টেস্টের আয়োজন করা হত। ইরফান বলেন যে, তিনি গড় ১৫.৫ স্কোর করতেন এবং কাইফের অনেক কাছাকাছি ছিলেন। ইরফান বলেন, আমি আপনার মন্তব্য শুনেছি যে আমাদের সময়ে যদি ইয়ো ইয়ো টেস্ট হত তাহলে কেবলমাত্র বালাজি এবং যুবরাজ এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেন। তাহলে আমি কি ছোলা বিক্রি করছিলা? (হাঁসি)… আমি আপনার পাশেও প্রতিযোগিতামূলকভাবে দৌড়তাম। আপনার স্কোর হত ১৬ এবং আমার হত ১৫.৫।

সৌরভ গাঙ্গুলির ফিটনেস স্কোর ফাঁস করলেন ইরফান পাঠান

এছাড়া এই আলাপচারিতার সময় ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির ফিটনেস স্কোর ফাঁস করে দিয়েছেন ইরফান পাঠান। তিনি বলেন, কেবলমাত্র ন্যূনতম নির্ধারিত মান স্কোর করেই উত্তীর্ণ হতেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, তবে আমার মনে আছে দাদা (সৌরভ গাঙ্গুলি) মাত্র ১২ (উত্তীর্ণ হওয়ার ন্যূনতম নম্বর) স্কোর করে ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হতেন। প্রসঙ্গত, ২০০০ সাল থেকে শুরু হওয়া দশকে যুবরাজ সিং সহ একজন অন্যতম সেরা ফিল্ডার ছিলেন মহম্মদ কাইফ। তারপর সেই দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করে চলেছেন সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাডেজা এবং বিরাট কোহলি। এই মুহূর্তে বিশ্বের একটা অন্যতম সেরা ফিল্ডিং সাইড হল ভারত। এবং এক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।