ক্রিকেট ময়দানে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে একটি প্রিয় প্রতিযোগিতা। বিশেষত বিশ্বকাপের মঞ্চে এই দুই দলের যুদ্ধ দেখা জন্য সবাই মুখিয়ে থাকেন। ঠিক যেমন ২০০৩ সালে হয়েছিল। বিশেষত মাঠের বাইরে তখন রাজনৈতিক স্তরে দুই দেশের সম্পর্কে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল, তার দরুণ আইসিসির এই মেগা ইভেন্টের লড়াই ঘিরে দর্শকদের মধ্যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়। সেই বিপুল প্রত্যাশার সম্মান রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন মেন ইন ব্লু। বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে পরাজিত করার রেকর্ড বজায় রেখেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সেই ম্যাচের অন্যতম সুপারস্টার হয়ে উঠেছিলেন শচীন তেন্ডুলকর। রান তাড়া করার সময় তার অসাধারণ ব্যাটিং ভারতকে জয় এনে দেয়। তবে তিনি শতরান করলে সেটা ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে আরও স্মরণীয় হয়ে থাকত। ১২টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৭৫ বলে ৯৮ রান করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। শোয়েব আখতারের একটি বিষাক্ত বাউন্সারে খোঁচা মেরে ৯৮ রানের মাথায় ক্যাচ আউট হন শচীন।
এই গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের পতনের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র পাকিস্তন দল যখন আনন্দে আত্মহারা তখন শোয়েব আখতারের কিছুটা অন্য অনুভূতি হচ্ছিল। রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেসের দাবি, তিনি এই ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েন। তিনি চেয়েছিলেন, শচীন শতরান করুন। তার মনে হয়েছিল, ওই বাউন্সারটা ছক্কা হিসেবে বাউন্ডারির বাইরে পড়া উচিত ছিল। যদিও সেই ডেলিভারিতে আউট হন শচীন। হেলোতে একটি লাইভ সেশনে আখতার বলেন, শচীন ৯৮ রানে আউট হওয়ায় আমি দুঃখ পেয়েছিলাম। সেটা স্পেশাল ইনিংস ছিল। তার শতরানে পৌঁছানো উচিত ছিল। আমি চেয়েছিলাম তিনি শতরান করুন। সেই বাউন্সারে আমি একটা ছয় দেখলে খুশি হতাম, ঠিক যেমনটা তিনি আগে মেরেছিলেন।
ম্যাচে কি ঘটেছিল?
২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তানের সেই ম্যাচে ১০ ওভারে ৭২ রান খরচ করেছিলেন শোয়েব আখতার। তিনি কেবলমাত্র শচীনের উইকেট ছাড়া আর কোনো উইকেট পাননি। চার ওভার বাকি থাকতেই জয়ের জন্য ২৭৪ রানের টার্গেটে পৌঁছে যায় ভারত। শচীন ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ রান করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড় (৪৪*) এবং যুবরাজ সিং (৫০*)। সেই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ওপেনার সঈদ আনওয়ারের শতরানে ভর করে বড় রান তোলে পাকিস্তান। তিনি ১২৬ বলে ১০১ রান করেছিলেন। সাতটি চার দিয়ে ইনিংস সাজিয়েছিলেন আনওয়ার। তবে তিনি ছাড়া পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটসম্যানের রান সংখ্যা ৪০ অতিক্রম করতে পারেনি। ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। সেই সময়ে এই রান যথেষ্ট ছিল। তবে শচীন তেন্ডুলকরের ব্যাটিংয়ের দৌলতে তা সহজেই তাড়া করে ভারত।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য