পাকিস্তান ক্রিকেট দলে সর্বদা বেশ কিছু মহান বোলার দেখা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন হলেন স্পিনার দানিশ কানেরিয়া। এটা উল্লেখ করা দরকার যে ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস এবং ইমরান খানের পর তিনি হলেন পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট সংগ্রহকারী। তবুও তিনি অন্যান্য পাক খেলোয়াড়দের মতো মর্যাদা পান না। এর কারণ হল তিনি একবার ইউনাইটেড কিংডমে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পাকিস্তানের এই লেগ স্পিনারকে আজীবনের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হয় এবং তাকে আর পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডকে তার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন, যাতে তিনি ফের দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতে পারেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, পাকিস্তানের তরুণ ক্রিকেটারদের কেরিয়ার গড়ে তোলার কাজেও তিনি হাত লাগাবেন। কানেরিয়া উল্লেখ করেন, পাকিস্তানে স্পিনারের সংখ্যা দিনকে দিন হ্রাস পাচ্ছে।
প্রতিভা গড়ে তুলতে প্রাক্তন খেলায়াড়রা সাহায্য করতে পারেন: দানিশ কানেরিয়া
একটি পত্রিকায় প্রকাশিত দানিশ কানেরিয়ার বক্তব্য, পাকিস্তানে স্পিনারের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। সেই কারণে আমি চাই আমার নাম থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক, যাতে দেশে স্পিনার তৈরিতে আমি সাহায্য করতে পারি। আমি ফের পাকিস্তানকে গুণগতমানের স্পিনার দিতে চাই। পাকিস্তানের টেস্ট দলের বর্তমান সদস্য ইয়াসির শাহর বিদেশের মাটিতে টেস্টে ভালো রেকর্ড রয়েছে। এছাড়া শাদাব খান ওডিআই এবং টি-২০ আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে ভালো খেলেছেন। ৩৯ বছর বয়সী কানেরিয়া বলেন, স্পিনারদের আরও সক্ষম করে তুলতে পিসিবির উচিত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের থেকে সাহায্য নেওয়া। এতে পাকিস্তান ক্রিকেটের কল্যাণ হবে। কানেরিয়া বলেন, পাকিস্তানের ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়ার ডেভেলপমেন্টের প্রধান হিসেবে সাকলিন মুস্তাকের নিয়োগ পিসিবির একটা ভালো সিদ্ধান্ত। কানেরিয়া যোগ করেন, পিসিবির বিষয়টি নিয়ে সত্যি ভাবা উচিত। আমি পিসিবিকে অনুরোধ করব যাতে আরও প্রাক্তন ক্রিকেটারদের নিয়ে সেট আপ তৈরি করা হয়। অন্তত এরকম খেলোয়াড়দের দিকে নজর দেওয়া হোক যারা পাকিস্তানের হয়ে অন্তত ৩০-৪০টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা অ্যাকাডেমিতে গিয়ে উদীয়মান ক্রিকেটারদের সাহায্য করতে পারেন। ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হোক। সম্প্রতি পাকিস্তানের ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়ার ডেভেলপমেন্টের প্রধান হিসেবে সাকলিন মুস্তাককে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ। সাকলিনের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ৬১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন দানিশ কানেরিয়া। সেই সময় টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের প্রধান স্পিনার ছিলেন কানেরিয়া। এি লেগ স্পিনার জাতীয় দলের হয়ে ২৬১টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তার পারফরমেন্সের সৌজন্যে পাকিস্তান অনেক ম্যাচে জয়ী হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়াও তিনি ১৮টি ওডিআই থেকে ১৫ উইকেট সংগ্রহ করেছেন।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য