পাকিস্তানে এবার ম্যাচ গড়াপেটাকে অপরাধমূলক কাজকর্মের সমতুল বলে বিবেচনা করা হবে। এমনই প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পিসিবির এই আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এর আগে পিসিবি প্রধান এহসান মানি বলেছিলেন, যারা এই খেলার নিষ্ঠার প্রতি কালি ছেটান, তাদের শাস্তির জন্য আরও কড়া আইনের ব্যবস্থা করা দরকার। মানি জানিয়েছেন, উক্ত পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা বা প্রত্যক্ষদর্শীকে হাজির করানোর মতো ক্ষমতা পিসিবির নেই। তাই ম্যাচ গড়াপেটায় বোর্ডের তরফ থেকে যথাযথ তদন্ত করতে গিয়ে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়। আইসিসির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশে আইন প্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা যোগাযোগ বজায় রাখছেন। ইতিবাচক ফলাফলের ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
আমরা ইতিবাচক প্রভাব দেখেছি: আইসিসি
ডন পত্রিকায় প্রকাশিত আইসিসি মুখপাত্রের বক্তব্য, যেসমস্ত দেশে এটি (ম্যাচ গড়াপেটা) অবৈধ, সেখানে আইন প্রণয়কারী সংস্থাগুলির সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। তাতে আমরা অনেক বেশি কার্যকারিতার সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হচ্ছি এবং যেসমস্ত অপরাধী ক্রিকেটকে দুর্নীগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের দূরে রাখার চেষ্টা করছি। তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে এই ধরণের আইন শ্রীলঙ্কায় দারুণ কাজ দিয়েছে। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় অনুরূপ আইন সম্প্রতি চালু করার পর তার ইতিবাচক ফল আমরা দেখতে পেয়েছি। প্রসঙ্গত, এর আগে মানি জানিয়েছেন যে, সাসপেনশন এবং রিহ্যাবিলিটেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর কোনো খেলোয়াড়ের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে পূর্বেকার গাইডলাইন অনুযায়ী তারা অগ্রসর হবেন। মানি বলেন, আমরা আইসিসির গাইডলাইন মেনে চলি এবং আমি বিশ্বাস করি যে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কার মতো পাকিস্তানেও ম্যাচ ফিক্সিংকে একটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। এই ব্যাপারে আমি ইতিমধ্যে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি।
২০১৭ সালে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) গড়াপেটা কাণ্ডে দোষী শার্জিল খান সম্প্রতি একই টুর্নামেন্টে প্রত্যাবর্তন করেছেন। ইমাদ ওয়াসিমের নেতৃত্বাধীন করাচি কিংসের হয়ে তিনি কিছু বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন। ২০১০ সালে লর্ডসে কুখ্যাত নো বল কেলেঙ্কারিতে জড়িত মহম্মদ আমিরও সম্প্রতি পাকিস্তানের জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। ২০১০ সালে পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন বাট ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেছেন। ২০০০ সাল নাগাদ সালিম মালিককে আজীবন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। এর আগে মহম্মদ হাফিজ সহ অন্যান্য প্রাক্তন ক্রিকেটার এই গড়াপেটা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত খেলোয়াড়দের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য