পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের বিষাক্ত বাউন্সার এবং ইয়র্কার দেখে কোনো ব্যাটসম্যান একটু হলেও ভয় পাননি তা বলা মুশকিল। শুধু তীব্র গতি নয়, তার বোলিংয়ের সমানে তিনি ব্যাটসম্যানকে নাচিয়ে ছাড়তেন। অনেক ব্যাটসম্যানের হেলমেটে আছড়ে পড়েছে তার ডেলিভারি। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বল করার সময় তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম বল করার রেকর্ড গড়েন।

সম্প্রতি তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তার জীবনী নিয়ে যদি কোনো ছবি তৈরি করা হয়, তাহলে মুখ্য চরিত্রে তিনি কোন নায়ককে দেখতে চাইবেন। এর উত্তরে রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস বলেন, একমাত্র সলমন খান তার চরিত্র বড় পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন। গত ১০ বছরে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কেবল অ্যাকশন ছবিতেই ভাইজানকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। তিনি নিঃসন্দেহে জনপ্রিয় অভিনেতা। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি অনেক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন। এছাড়া কালার্স চ্যানেলে রিয়ালিটি টিভি শো বিগ বসের সঞ্চালকের ভূমিকাতেও দেখা যায় সলমন খানকে। সম্প্রতি হেলো অ্যাপে মতের আদানপ্রদানে অংশগ্রহণ করেছিলেন শোয়েব। সেখানে নিজের বায়োপিক ছাড়াও ক্রিকেটের নানা বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন। ক্রিকেট মাঠে সাফল্যের পাশাপাশি তিনি অনেক বিতর্কে জড়িয়েছেন। সলমনের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে দুজনেরই সুনাম অক্ষত রয়েছে।

শোয়েব আখতার - গ্যাংস্টার

২০০৬ সালে ইমরান হাশমি অভিনীত গ্যাংস্টার দেখা গিয়েছিল সিলভার স্ক্রিনে। এই ছবি নিয়ে বেশ চর্চাও হয়েছিল। ইমরান ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত এবং শাইনি আহুজা। এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ইমরান। অন্যদিকে গ্যাংস্টারের ভূমিকায় দেখা যায় শাইনি আহুজাকে। ওই ছবিতে হাশমি এবং আহুজার প্রেমিকার ভূমিকায় অভিনয় করেন রানাওয়াত। আহুজাকে পাকড়াও করতে কঙ্গনাকে ব্যবহার করেন ইমরান। শেষে আহুজার মৃত্যু হয়। এই সত্যটা জানার পরই ইমরানকে তার বাড়িতেই গুলি করেন কঙ্গনা। এটাই ছিল বলিউডে কঙ্গনার প্রথম ছবি। তারপর থেকে এই অভিনেত্রীকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। অন্যদিকে এই জনপ্রিয় ছবির ব্যাপারে সলমন একবার বলেছিলেন, শাইনি আহুজার চরিত্রে খুব সহজেই অভিনয় করতে পারতেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। সলমনের সেই মতামত একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ছবিতে গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করার মতো শারীরিক গঠন রয়েছে শোয়েবের। এছাড়া বাস্তবেও শোয়েব কোনো কিছুতে ভয় পান না। ছবিতে তার চরিত্রে তিনি সেটা ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। পাকিস্তানের হয়ে ২২৪টি ম্যাচে তিনি ৪৪৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন।