ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২০ আগামী ২৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। যদিও করোনাভাইরাস নিয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির জেরে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তবে তার পরেও আইপিএল শুরু হবে কি না, তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে না। এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

চিন্তার বিষয় হল, ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই আইপিএল ২০২০ আপাতত বিশ বাঁও জলে। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া সমস্ত ক্ষেত্রে বিদেশিদের ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিয়েছে ভারত সরকার। যার অর্থ হল, আইপিএলে অংশগ্রহণের জন্য বিদেশি খেলোয়াড়দেরও ভারতের ভিসা পেতে সমস্যা হবে। আইপিএলের ভবিষ্যৎ কি হবে, তা ঠিক করতে ইতিমধ্যে একাধিকবার বৈঠক করেছেন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, বিসিসিআই এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিনিধিরা। তাদের এই আলোচনায় উঠে এসেছে অনেক বিকল্প। তবে কোনটা শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। আইপিএল ২০২০ নিয়ে যে কয়েকটি বিকল্প ভাবনা এখনও পর্যন্ত সামনে এসেছে সেগুলি হল এবারের টুর্নামেন্টের সূচীতে ব্যাপক রদবদল, ম্যাচের সংখ্যায় কাটছাঁট করা। আর একটি বিকল্প হল বিদেশে সমগ্র টুর্নামেন্টের আয়োজন করা। সেটাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে শেষ সম্বল হল নিরুপায় হয়ে আইপিএল ২০২০ বাতিল করে দেওয়া। বিপুল আর্থিক ক্ষতির কথা ভেবে বিসিসিআই কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি, কেউই চাইছে না আইপিএল পুরোপুরি বাতিল হোক। তাই তারা আপাতত ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করার পক্ষপাতী। আগামী কয়েক সপ্তাহে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। ভারত সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে জনসমক্ষে ভিড় এড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা জানিয়েছে, আইপিএল নিয়ে বিসিসিআইকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

১৫ এপ্রিলের পর কি হয় দেখতে হবে, বললেন কিরেণ রিজিজু

এবার আইপিএল ১৩-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি বলেন, আইপিএল ইতিমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। ১৫ তারিখের (এপ্রিল) পর কি হয় সেটা আমাদের দেখতে হবে। বিসিসিআই আমাদের অধীনে না থাকলেও এটা (আইপিএল) শুধু একটা খেলা নয়। এটার সঙ্গে নাগরিকদের নিরাপত্তা জড়িয়ে রয়েছে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, আইপিএলের জন্য কোনোভাবেই জনগণের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা যাবে না।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসকে একটি মহামারি বলে ঘোষণা করেছে। এর পর বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় স্থগিত, বা বাতিল করা করা হয়েছে। লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো জনপ্রিয় ফুটবল প্রতিযোগিতা আপাতত বন্ধ রয়েছে। অলিম্পিকের ট্রায়াল আপাতত বন্ধ রয়েছে। এই বছরের টোকিও অলিম্পিক নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। রিজিজু বলেন, ভারতে অবস্থিত সমস্ত ট্রেনিং সেন্টার আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। যেসমস্ত অ্যাথলিট ইতিমধ্যে এই শোপিস ইভেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন, কঠোর পর্যবেক্ষণের মধ্যে কেবলমাত্র তাদেরকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।