ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা কোনো ভারতীয় ভুলতে পারবেন না, যেখানে একটা বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে মেন ইন ব্লুকে বহু প্রতিক্ষিত জয় এনে দিয়েছিলেন এমএস ধোনি। ওই টুর্নামেন্টে দৃষ্টান্তমূলক পারফরমেন্স করেছিল টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করার জন্য তারা অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের মতো অনেক শক্তিশালী দলকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিল।
২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমএস ধোনি এবং কোং. কি পারফরমেন্স তুলে ধরেণ, তা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল প্রবল আগ্রহ। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের অবিশ্বাস্য রেকর্ড বজায় রাখা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল কৌতূহল। এবং সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা পাকিস্তানকে ২৯ রানে পরাজিত করে। ওই ম্যাচে ভারতের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান শচীন তেন্ডুলকর ৮৫ রানের একটা অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন। যদিও ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট যুবরাজ সিং এই ম্যাচে ভালো খেলতে ব্যর্থ হন। ঘরের মাঠে মোহালিতে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হন। ওয়াহাব রিয়াজের একটা ইনস্যুইঙ্গিং ইয়র্কারে তিনি প্রথম বলেই আউট হন। টুর্নামেন্টে যুবরাজের এই বিরল ব্যর্থতা সত্ত্বেও এই ম্যাচ জিতে ফাইনালে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ভারত।
শনিবার ইনস্টাগ্রাম সেশনে সেই প্রসঙ্গে যুবরাজ বলেন, ভারতের কপালে লেখা ছিল যে তারা ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জিতবে। ওই ম্যাচে তেন্ডুলকরকে মোট চার বার আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেছিল পাকিস্তান। তেন্ডুলকর যখন ২৭, ৪৫, ৭০ এবং ৮১ রানে ছিলেন, তখন তাকে আউট করার সুযোগ লুফে নিতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। ভারতের এই কিংবদন্তী ব্যাটসম্যানের ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন মিসবা উল হক, ইউনিস খান, কামরান আকমল এবং উমর আকমল। যুবরাজ ইনস্টাগ্রাম সেশনে বলেন, আমার মনে হয় আমাদের কপালে লেখা ছিল যে আমরাই জিতব। আমার মনে হয় শচীন ৮৭ রান স্কোর করেন। তার ক্যাচ দুবার ফেলে দেওয়া হয়। সুতরাং এটা হওয়ারই ছিল।
‘আমার কাছে মোহালি অশুভ গ্রাউন্ড’: যুবরাজ সিং
চণ্ডীগড়ের সন্তান যুবরাজ সম্প্রতি ২০১১ সালের সেই ম্যাচ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, মোহালি গ্রাউন্ডটা আমার কাছে অশুভ। যুবরাজ বলেন, এই মাঠে টেস্ট ডেবিউ করার পর তিনি হাঁটু এবং আঙুলে চোট পেয়েছিলেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে প্রথম ম্যাচে আউট হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন আমি আউট হই, গোটা স্টেডিয়ামের দর্শক নিস্তব্ধ হয়ে পড়েন, মনে হচ্ছে শচীন আউট হয়েছেন। তিনি বলেন, (মোহালিতে) ঘরের মাঠে আমি সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলেছিলাম। মোহালি আমার কাছে একটা অশুভ গ্রাউন্ড। এখানে আমি টেস্ট ডেবিউ করি এবং সেখানেও আমি হাঁটু ভেঙে গিয়েছিল। আঙুলে ফ্র্যাকচার হয়েছিল। বিশ্বকাপেও সবাই স্থানীয় ছেলের (যুবরাজ) খেলা দেখতে এসেছিলেন। আমি প্রথম বলেই আউট হয়ে যাই। আমার উইকেটের পর স্টেডিয়ামে নিস্তব্ধতা দেখে মনে হচ্ছিল শচীন আউট হয়ে গিয়েছেন।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য