সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ২০০০ সালে যখন তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তখন আইসিসির টেস্ট দলের ক্রমতালিকায় ভারত অষ্টম স্থানে ছিল। তবে দাদার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়া। যখন তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন, তখন আইসিসির টেস্ট ক্রমতালিকায় ভারতী দ্বিতীয় স্থানে ছিল। যা এক কথায় অভাবনীয় সাফল্য।
সৌরভের নেতৃত্বে বিদেশের মাঠে ধারাবাহিক হয়ে ওঠে মেন ইন ব্লু। ৪৯টি টেস্ট ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সৌরভ, এর মধ্যে ২১টি ম্যাচে ভারত জয়ী হয়েছে। জয়ের শতাংশের হিসেবে যা ৪২.৮৫ শতাংশ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও ভারতীয় দল বিপুল সাফল্য অর্জন করেছিল দাদার আমলে। ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল ভারত। তখন অধিনায়ক সৌরভ। তার নেতৃত্বেই ২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল ভারত। এছাড়া ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যদিও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার স্বীকার করতে হয়।
অসাধারণ জয়ের রেকর্ড ছাড়াও সৌরভের কেরিয়ারের একটা গুরুত্বপূর্ণ বা স্মরণীয় দিক হল তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া। সৌরভের হাত ধরে অনেক তরুণ তুর্কি টিম ইন্ডিয়ায় প্রবেশ করেছেন। দাদার সমর্থনে তারা পরে ক্রিকেট বিশ্বের তাবড় তারকা হয়ে ওঠেন। মহম্মদ কাইফ, যুবরাজ সিং, জাহির খান, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং হরভজন সিং হলেন এরকমই কয়েকজন ক্রিকেটার, দাদার আমলে যাদের ক্রিকেটে হাতে খড়ি হয়। পরবর্তীতে এই ইয়াং ব্রিগেড হয়ে ওঠে টিম ইন্ডিয়ার সাফল্যের চাবিকাঠি।
কেরিয়ারের একদম শুরুর দিকে বীরুর খারাপ সময় চলছিল: আকাশ চোপড়া
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমানের ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়াও সৌরভের অধিনায়কত্বে ক্রিকেট খেলেছেন। কলকাতার রাজপুত্র একবার বীরুকে রীতিমতো অনুরোধের সুরে বলেছিলেন, দলে থাকার জন্য রান করতে হবে। এর জবাবে শতরান করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেছিলেন নজফগড়ের নবাব। তিনি সৌরভের বিশ্বাসের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ক্রিককাস্টের সর্বশেষ ইউটিউব ভিডিওতে তিনি বলেন, অনেক রান করার পর কেরিয়ারের শুরুর দিকে বীরু কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার ব্যাটে রান উঠছিল না। ওই ম্যাচের আগে সৌরভ তাকে বলেছিলেন, রান না করতে পারলে পরের ম্যাচে তার স্থান নিশ্চিত নয়। সৌভাগ্যক্রমে তারপর শতরান করেছিলেন সেহওয়াগ। সুতরাং সৌরভ সর্বদা তরুণ খেলোয়াড়দের পাশে থেকেছেন। একই ঘটনা ঘটেছিল যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে। তার ব্যাটেও রানের খরা দেখা দেয়। চোপড়া বলেন, আমার মনে আছে যুবরাজ সিং একবার একই পরিস্থিতির মধ্যে ছিলেন। তার ব্যাটে ১৮-২০ রানের বেশি উঠছিল না। তবে দাদার সমর্থনে সেই খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন যুবি। এদিকে আকাশ চোপড়া স্বীকার করেছেন, তিনিও ছোটো ছোটো রানগুলিকে বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারেননি। সেই জন্যই জাতীয় দলের হয়ে তার কেরিয়ার বেশি দূর এগোতে পারেনি। ভারতের হয়ে তিনি মাত্র ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। আকাশ চোপড়া বলেন, আমি ৪০-৫০ এর বেশি রান করতে পারছিলাম না। এটা আমার দোষ। অন্তত আমার কিছু শতরান করা উচিত ছিল। দল আমাকে অনেক সুযোগ দিয়েছে। আমি আন্তরিকতার সঙ্গে সেই সব ভূমিকা পালন করেছি।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য