অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। এই দশকের প্রথমার্ধে ব্রিটিশরা অনেকটা এগিয়েছিল। তারা ঘরের মাটিতে এবং ২০০৯-১০ সালে অস্ট্রেলিয়াতেও অ্যাশেজ জিতে নেয়। তবে এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাটিতে শেষ অ্যাশেজ জিতেছে। তবে এই গ্রীষ্মে তারা ইংল্যান্ডে গিয়ে ২-২ ড্র করেছে। ২০০১ সালের পর এই প্রথমবার ইংল্যান্ড হোম অ্যাশেজ সিরিজ জিততে ব্যর্থ হল। তারা সিরিজে পরাজিত হতে পারত। কিন্তু হেডিংলিতে তাদের হারের মুখ থেকে বাঁচিয়ে আনে বেন স্টোকসের নায়কোচিত ইনিংস। উভয় দল সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে পারফর্ম করেছে সেদিকে তাকিয়ে বলা যায়, আগামীদিনে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া যদি তাদের অবস্থান আরও মজবুত করে ফেলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমনটাই মনে করেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকেল ভন।

২০০৫ সালে ইংল্যান্ডকে ঐতিহাসিক অ্যাশেজ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া ভন মনে করেন, পরবর্তী অ্যাশেজে জো রুট এবং তার দলের ছেলেদের অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করার কোনো সুযোগ নেই। সদ্য সমাপ্ত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে ইংল্যান্ড পরাজিত হওয়ার পর এই মন্তব্য করলেন ভন।

ইংল্যান্ডের পরাজয়ের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে। অজিদের বোলার এবং ব্যাটসম্যানরা দারুণ ফর্মে রয়েছে। টিম পেইনের নেতৃত্বাধীন দল উভয় ম্যাচ এক ইনিংসের ব্যবধানে জিতেছে। ২০২১ সালে পরবর্তী অ্যাশেজ অনুষ্ঠিত হবে। ভন বলেন, অজিদের মোকাবিলার জন্য তার আগে ইংল্যান্ডকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে।

চলতি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এবং পরবর্তী অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, হঠাৎ করে ইংল্যান্ড যদি কোন জায়গা থেকে একজন হাইক্লাস স্পিনার এবং দু-একজন হাইক্লাস বোলার খুঁজে না পায়, দু বছরের মধ্যে তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। আমি জানি এখনও আমরা দু বছর দূরে রয়েছি কিন্তু আমার মনে হয় না, বিশেষত এই অস্ট্রেলিয়ান দলের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করার মত বারুদ ইংল্যান্ড দলে আছে।