ভারতের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার আশিস নেহরা বলেছেন যে এমএস ধোনি এবং সৌরভ গাঙ্গুলির অধিনায়কত্বের ধরণ সম্পূর্ণ পৃথক। ২০০০ সালের প্রথম দিকে যখন নেহরার আবির্ভাব ঘটে, তখন ভারতীয় দলের দায়িত্বে ছিলেন সৌরভ। অধিনায়ক হিসেবে তিনি সফল হলেও তার মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব ছিল। তারপর তিনি এমএস ধোনি এবং ২০১৭ সালে বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে খেলেছেন।
ঝাড়খণ্ডের সন্তান ধোনির অধিনায়কত্বে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন নেহরা। সৌরভ গাঙ্গুলির ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে ৪১ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত স্পিডস্টার বলেন, উভয় প্রাক্তন অধিনায়ক জানতেন যে এক ব্যক্তির মধ্যে থেকে কিভাবে সেরাটা বের করতে হয়। টাইমস নাওতে প্রকাশিত নেহরার বক্তব্য, উভয়ে (এমএস ধোনি এবং সৌরভ গাঙ্গুলি) সম্পূর্ণ পৃথক অধিনায়ক। তবে উভয়ে জানতেন কিভাবে খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করতে হয়। সৌরভ যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন দল তখন নতুন। অন্যদিকে ধোনির দায়িত্ব ছিল দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের পরিচালনা করা।
সমস্ত তরুণ খেলোয়াড়কে সহায়তা জুগিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি: আশিস নেহরা
সৌরভ গাঙ্গুলি যখন অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন ম্যাচ গড়াপেটার আঁচ পড়েছে ভারতীয় দলে। তবে ২০০১ সালে তার দল অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করার মতো অসম্ভব কাজকে সম্ভব করে দেখায়। অন্যদিকে ২০০৭ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থেকে তড়িঘড়ি দল বিদায় নেওয়ার পর অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় এমএস ধোনিকে।
সৌরভ গাঙ্গুলির ব্যাপারে আশিস নেহরা বলেন, যতই বাধা থাকুক সৌরভ তার খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়াতেন। অন্যদিকে সিনিয়র খেলোয়াড়দের যেভাবে তিনি সামলেছেন, তার জন্য ধোনির ভূমিকাও প্রশংসনীয়। নেহরা বলেন, গাঙ্গুলির কাছে এরকম তরুণ খেলোয়াড় ছিলেন যাদের অনেক ঘষা-মাজার প্রয়োজন ছিল। তিনি সমস্ত তরুণ খেলোয়াড়কে সমর্থন করতেন। এতে ওই খেলোয়ড়দেরও ভালো অনুভূতি হত, তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করার পর সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই বদলে যায়। এটাই হল সৌরভ গাঙ্গুলির গুণ। যখন পরিস্থিতি প্রতিকূল, তখনও তিনি খেলোয়াড়দের সহায়তা করা থেকে বিরত হন না। নেহরা আরও যোগ করেন, ধোনি অন্যদিকে হলেন এমন একজন যিনি পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি অনেক হিসেব করে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনিও অনেক খেলোয়াড়কে সুযোগ প্রদানের চেষ্টা করেছেন। গ্যারি কার্স্টেনের সঙ্গে তার জুটি সফল হয়েছে। যেভাবে তিনি শচীন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং ভিভিএস লক্ষ্মণকে সামলেছেন, তার জন্য তাকে কৃতিত্ব প্রদান করতেই হবে। তিনি নিজেকে এবং দলকে অসাধারণভাবে পরিচালনা করেছেন।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য