দুটি ধাপে এমএস ধোনির হাত থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন বিরাট কোহলি। প্রথমে, ২০১৫ সালের প্রথমদিকে দীর্ঘতম ফরম্যাট থেকে ধোনির অবসরের পর টেস্ট অধিনায়ক পদে বিরাট কোহলিকে নিয়োগ করা হয়। তার দু বছর পর ধোনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ায় সীমিত ওভারের অধিনায়কের দায়িত্বও দেওয়া হয় বিরাট কোহলিকে। উভয় খেলোয়াড়ের অধিনায়কত্বের ধরণ পৃথক। তবে এটা অস্বীকার করা যাবে না যে, ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় উভয়ে খুব ভালো রেকর্ড করেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন স্পিনার লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণাণ তাদের অধিনায়কত্বের স্টাইল নিয়ে কথা বলেছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমানের ধারাভাষ্যকার শিবরামকৃষ্ণাণ বলেন, অধিনায়ক হিসেবে ধোনিকে হাতের কাছে পাওয়া যেকোনো বোলারের কাছে একটা বিশাল সুবিধা। এছাড়া প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, ঝাড়খণ্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অনেকটা ঠাণ্ডা মাথায় দল পরিচালনা করেন। অন্যদিকে দিল্লির ব্যাটসম্যান কোহলির অধিনায়কত্বের ধরণ আক্রমণাত্মক।
সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন বিরাট কোহলি: লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণাণ
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় শিবরামকৃষ্ণাণ বলেন, উভয়ে পৃথক অধিনায়ক। বিরাট অনেক বেশি আক্রমণাত্মক এবং ভাব প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করেন না। অন্যদিকে এমএস ধোনি ঠাণ্ডা মাথার অধিনায়ক। তার শারীরিক ভাষা দেখে বোঝা যায় না তার মাথার ভিতরে কি চলছে। তবে এমএস ধোনি অনেকটাই বোলারের অধিনায়ক। এটা যেকোনো বোলারের কাছে একটা বিশাল সুবিধা।
খেলোয়াড় হিসেবে কোহলি সফল হলেও তিনি এখনও কোনো আইসিসি ট্রফি জিততে পারেননি। তিনি ইতিমধ্যে ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়কের তকমা অর্জন করেছেন। তার অধিনায়কত্বে ভারত ৮৭টি ওডিআই ম্যাচের মধ্যে ৬২টি ম্যাচে জয়ী হয়েছে। একজন অধিনায়কের কাছে সেটা বেশ উৎসাহ ব্যাঞ্জক পরিসংখ্যান। এটা উল্লেখ করতে হবে যে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং গড়ও রয়েছে।
ভারতের প্রাক্তন স্পিনার যোগ করেন, বিরাট কোহলি হলেন একজন উদ্যোগী এবং সহজাত অধিনায়ক। এটা তাকে অফুরন্ত প্রাণশক্তি প্রদান করে এবং তিনি নিজের উন্নতি করেই চলেছেন। অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলির সবচেয়ে সেরা দিক হল তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুধুমাত্র ব্যাট হাতে রান স্কোর করাই নয়, তার মধ্যে যে প্রাণশক্তি রয়েছে, তিনি সেটার প্রদর্শন করেন। বোলারদের জন্য তার মাথায়া সর্বদা পরামর্শ থাকে। এই দৃষ্টিভঙ্গিটা ভালো। তবে তার থেকে আরও যেটা বেশি ভালো তা হল ফলাফল।
অতীতে অস্ট্রেলিয়া দলের মনোভাবের সঙ্গে ভারতীয় দলের বর্তমান অধিনায়কের মনোভাবের তুলনা করেছেন প্রাক্তন স্পিনার। ২০১৮-১৯ মরসুমে প্রথমবারের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত। শিবরামকৃষ্ণাণ বলেন, বিরাট কোহলি ম্যাচ হেরে যাওয়া নিয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন না কারণ তিনি জেতার জন্য খেলেন। ৯০ এর দশকে এবং ২০০০ সাল নাগাদ সেটাই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই কারণে তারা এত সফল। আপনি মাঠে নেমে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেন এবং সেই প্রক্রিয়ায় যদি হেরে যান, সেটাকে খেলার অঙ্গ হিসেবে স্বীকার করতে হবে।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য