২০০৮ সালে এমএস ধোনিকে ক্রয় করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। তারপর তাকে এই ফ্র্যঞ্চাইজির অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১২ বছর পর বলা যায়, তিনি নিঃসন্দেহে আইপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। চেন্নাই কখনো নক আউট স্টেজে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়নি। ১২ বছর ধরে তাদের এই রেকর্ড রয়েছে- যা এক কথায় অবিশ্বাস্য। এই দীর্ঘ সফরে ধোনি অনেক খেলোয়াড়কে তার পাশে পেয়েছেন। এদের মধ্যে একজন হলেন রবি অশ্বিন।
২০০৯ সালে তামিলনাড়ুর এই ক্রিকেটারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে সিএসকে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সফল হন। এই অফ স্পিনারকে পর্যাপ্ত সমর্থন জুগিয়েছিলেন ধোনি। ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর ধোনির ট্রাম্প কার্ডে পরিণত হন অশ্বিন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে প্রথম দিকের দিনগুলির কথা স্মরণ করেছেন অশ্বিন।
আজকের এমএস ধোনি অনেক সাবধানী: রবি অশ্বিন
এক সময় চেন্নাই সুপার কিংসের নেটে রবি অশ্বিন এবং মুথাইয়া মুরলিথরনের বিরুদ্ধে ব্যাট করতেন ধোনি। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী অফ স্পিনার মুরলি তিন মরসুমের জন্য সিএসকে দলে ছিলেন। অশ্বিনের মতো টি-২০ ফরম্যাটে মুরলিথরনকেও ভালোভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিলেন ধোনি। অশ্বিনের কথায়, এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের পিছন দিকে যেখানে নেট রয়েছে, সেখানে নেট রয়েছে, সেখানে আমি গিয়ে লাইন দিতাম। ম্যাচ টার্ফের পাশে সেখানেই তারা অনুশীলন করতেন। এমএস এবং সুরেশ সর্বদা মাঝে ব্যাট করতেন। তাদের উদ্দেশ্যে বল করার জন্য সেখানে যেতে একটা মানদণ্ডের প্রয়োজন হত। আমরা সর্বদা সেটা পেতাম না। তবে আমি প্রথমবার যখন সেটা করতে সক্ষম হয়েছিলাম, তখন আমি মুথাইয়া মুরলিথরনের পাশে বল করছিলাম।
প্রত্যেকবার যখন এমএস ধোনির দিকে যখন মুরলি বল করতেন, তখন অনেক দূরে বল মেরে পাঠাতেন ধোনি। আজকের এমএস ধোনি অনেক বেশি সাবধানী। তবে আমি তখন দেখেছি, যখনই মুরলি ডেলিভারির লেংথ ছোটো করতেন, তখনই বলটিকে উড়িয়ে দিতেন ধোনি। অন্তত ৫-৬টা বল এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের ছাউনিতে গিয়ে পড়েছে। আমি কাউকে এত দূরে বল মারতে দেখিনি। তখন সেটা একটা নতুন ব্যাপার ছিল। তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের ওইভাবে ছয় মারা শেখানো হয় না।
২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার পর বর্তমানে অবলুপ্ত রাইজিং পুণে সুপারজায়েন্ট দলে যোগ দেন অশ্বিন। ওই সময়সীমায় আইপিএলে নিষিদ্ধ ছিল সিএসকে। তারপর ২০১৮ সালের আইপিএলের আগে মোটা টাকায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে যোগ দেন অশ্বিন। তাকে সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুই মরসুমে পাঞ্জাবকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর তিনি দিল্লি ক্যাপিটালস দলে যোগ দিয়েছেন।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য