গোটা বিশ্ব যখন একদিকে কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যস্ত, তখন ক্রিকেটাররা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে পড়েছেন। ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণকে সম্প্রতি ট্যুইটারে অনেক বেশি সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। নিজের কিছু প্রাক্তন সহকর্মীর প্রশংসায় তিনি পঞ্চমুখ হয়েছেন। নিজের প্রাক্তন সতীর্থদের নানা গুণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেছেন। এখনও পর্যন্ত শচীন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, জাহির খান, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং যুবরাজ সিংয়ের মতো তারকাদের প্রশংসা করেছেন লক্ষ্মণ।

লক্ষ্মণ এবার ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এমএস ধোনির তারিফ করেছেন। চপের মুখেও মাঠে ধোনি যেভাবে অবিচলিত থাকেন, তার প্রশংসা করেছেন লক্ষ্মণ। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত এমএস ধোনির অধিনায়কত্বের সাফল্যের যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে। সমগ্র বিশ্বের সামনে একজন সফল অধিনায়ক হয়ে ওঠার নজির সৃষ্টি করেন এমএস ধোনি। দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্বে থাকার সময় তিনি অনেক রেকর্ড তৈরি করেছেন। লক্ষ্মণ লেখেন, ক্রিকেটকে শুধুমাত্র একটি খেলা এবং জীবন-মৃত্যুর কোনো বিষয় হিসেবে না দেখার জন্য নিজেকে ধন্য মনে করি। ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের জয় দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে একজন নেতা নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে নেতৃত্বের ভিত গড়ে তোলেন।

আইপিএল ২০২০-তে এমএস ধোনির ফিরে আসার কথা ছিল

লক্ষ্মণ তার আত্মজীবনীতেও লিখেছেন যে, ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জেতার পর কিভাবে নয়া নিযুক্ত টেস্ট অধিনায়ক চালকের আসনে বসে টিম বাস চালিয়ে হোটেল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। এছাড়া ধোনির বিনম্র এবং ফুরফুরে মেজাজের জন্য তার প্রশংসা করেছেন হায়দরাবাদে জন্মানো ক্রিকেটার। লক্ষ্মণ তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, আমার মনে থাকা এমএস ধোনির একটি অন্যতম স্মৃতি হল নাগপুরে আমার ১০০তম টেস্ট ম্যাচের সময় ড্রাইভ করে টিম বাসকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না– দলের অধিনায়ক মাঠ থেকে টিমকে ড্রাইভ করে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন! অনিল কুম্বলের অবসরের পর অধিনায়ক হিসেবে এটাই ছিল ধোনির প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এবং এটা নিয়ে তিনি বেশি ভাবিত ছিলেন না। তিনি এরকমই। এমএস কখনোই তার হাঁসি, আনন্দ হারিয়ে ফেলেননি। সর্বদা বিনম্র। তার মতো আর কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তি আমি দেখিনি।

প্রায় এক বছর ধরে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার পর ২০২০ সালের আইপিএলে তার প্রত্যাবর্তনের কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাস প্রকোপের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ধোনিকে ফের কবে ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে তা বলা যাচ্ছে না।