কয়েক বছর আগে যখন তাকে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল, তখন ক্রিকেট পণ্ডিতরা অনুমান করেছিলেন, মুস্তাফিজুর রহমান লম্বা রেসের ঘোড়া। বাংলাদেশের এই তরুণ ফাস্ট বোলার তার গতি এবং নিখুঁত লাইন ও লেংথের জন্য সবার নজর কেড়েছিলেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) খেলেছেন টাইগারদের এই প্রতিভাবান বোলার। তবে প্রত্যাশা যতটা ছিল, ততটা পূরণ করতে পারেননি মুস্তাফিজুর। সম্প্রতি ধারাবাহিকতা যেমন তার ক্ষেত্রে একটা সমস্যা, তেমনি আরও একটা বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে চোট।

চোট সারিয়ে ওঠার পর দলে ফিরলেও সেই পুরানো ছন্দে দেখা যাচ্ছে না মুস্তাফিজুরকে। যে কাটার এবং বিষাক্ত ইয়র্কারের জন্য তিনি এক সময় ব্যাটসম্যানদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন, সেসব এখন তার বোলিংয়ে খুব একটা দেখা যায় না। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও ছন্দে নেই মুস্তাফিজুর। এর কারণ কি? বুধবার ঢাকার মিরপুরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই ব্যাপারে খোলাখুলি নিজের মতামত জানালেন বাংলাদেশের এই বোলার। তার বোলিংয়ে যে সমস্যা রয়েছে, সেটা এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন মুস্তাফিজুর। বিডি নিউজ বাংলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তিনি বলেন, কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে। পুরানো আত্মবিশ্বাস আর ফিরে পাচ্ছি না। আরও অনুশীলন করতে হবে।

যে ইয়র্কারের জন্য তিনি একসময় ব্যাটসম্যানদের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন, সেটা হারিয়ে গেল কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি দু-একটা জিনিস চেষ্টা করে দেখছি। ইয়র্কারটা আর আগের মতো করতে পারছি না। তবে কিভাবে সেটা ফিরে পাওয়া যায়, সেই চেষ্টা করে চলেছি। কাটার তো রয়েছে। ক্রিজের বাইরে থেকে কিভাবে বল ঢোকানো যায় সেই বিষয়েও এখন কাজ করছি।

বোলিংয়ে উন্নতি করার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বর্তমান কোচ ওটিস গিবসনের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি অনুশীলন করছেন। এর আগে টাইগারদের প্রাক্তন বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক, কোর্টনি ওয়ালশের নির্দেশ অনুসারে নিজের বোলিং উন্নত করার জন্য সচেষ্ট হয়েছেন মুস্তাফিজুর। বিডি নিউজ ডট কমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, আমার কাছে ভালোই মনে হচ্ছে (বল ক্রিজের বাইরে থেকে ভিতরের দিকে প্রবেশ করানো)। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দুটি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললাম। প্রথম স্পেলে এটাই চেষ্টা করেছি। দু-একটা বল ওইরকম ডেলিভারি করতে সক্ষম হয়েছি।

কাজটা যে কঠিন, সেটা মানতেই হবে। মুস্তাফিজুর বলেন, একদিনে তো সব হয় না। সময় লাগবে।