বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন জানিয়েছেন, বাঁহাতি ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজুর রহমানকে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে হবে এবং নিজের ফিটনেস প্রমাণ করতে হবে। এই পরীক্ষায় উতরে যেতে পারলে তবেই ভারতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সুযোগ পাবেন তিনি। প্রসঙ্গত, গোড়ালির চোটের জন্য এনসিএলের ওপেনিং রাউন্ড থেকে ছিটকে যান মুস্তাফিজুর।

এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরমেন্স খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না। সম্প্রতি ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে একটি টেস্ট ম্যাচে তাদের হারতে হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ফরমান জারি করে, ভারত সফরে যেতে হলে প্রতিটি খেলোয়াড়কে আবশ্যিকভাবে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে হবে। আবেদিন বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজের জন্য বিবেচিত হতে গেলে এনসিএল ম্যাচে তাকে (মুস্তাফিজুর) নিজের ফিটনেস প্রমাণ করতে হবে। ফিজিও আমাদের কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথম ম্যাচ থেকেই তার খেলার কথা ছিল। তবে গোড়ালিতে চোট থাকায় তিনি বেশি চাপ নিতে পারছিলেন না।

এনসিএলের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি। এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে ক্রিকেটে ফিরছেন মুস্তাফিজুর। নিজের স্টেট সাইড খুলনা ডিভিশনের হয়ে রাজশাহি ডিভিশনের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন তিনি। দীর্ঘতর ফর্ম্যাটে তিনি কতটা পরিশ্রম করতে পারেন সেটার ভিত্তিতেই তার মূল্যায়ণ হবে।

আবেদিন এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, তিনি (মুস্তাফিজুর) এখন সুস্থ হচ্ছেন। তিনি কত ওভার বল করতে পারেন সেটা দেখতে হবে। আমাকে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে আসন্ন ম্যাচে তিনি ১৫ ওভারের (দিনে) বেশি বল করতে পারবেন না। আমাদের সেটা ভেবে দেখতে হবে। পরবর্তীতে চার দিনের ম্যাচে তার ফিটনেসের মূল্যায়ণ করতে হবে। এটি সম্পূর্ণরূপে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। আমরা মাঠে নেমে কাজ করি না। একজন ফিটনেস ট্রেনার, বোলিং কোচ রয়েছেন। তারাই বলতে পারবেন পর পর ম্যাচে তিনি বল করতে পারবেন কিনা এবং কত ওভার বল করতে পারবেন।

মুস্তাফিজুর শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছিলেন দেশের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে, যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশগ্রহণ করেছিল আফগানিস্তান এবং জিম্বাবোয়ে। গত সেপ্টেম্বরের ওই সিরিজে মুস্তাফিজুর চার উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন। বাংলাদেশ দলের ভারত সফর আগামী ৩ নভেম্বর আরম্ভ হবে। প্রথমে দুই দলের মধ্যে ৩টি টি-২০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তারপর ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে ভারত-বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। টি-২০ ম্যাচগুলি দিল্লি, রাজকোট এবং নাগপুরে অনুষ্ঠিত হবে।