বিরাট কোহলির তত্ত্বাবধানে ভারতীয় ক্রিকেট দল ঘরের মাটিতে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে ওডিআই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে। মুম্বইয়ে প্রথম ওডিআই জিতলেও পরের দুটি ম্যাচে অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন দল হেরে যায়। এই সিরিজ পরাজয় অস্ট্রেলিয়ার রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ভারত সফরে আসার আগে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ঘরের মাটিতে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করেছিল। কিন্তু কোহলিদের বিরুদ্ধে তাদের এই পরাজয়ে অজি দলের ভারসাম্য নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অস্ট্রেলিয়ার আত্মবিশ্বাসের জোর আঘাত করেছে এই সিরিজ।
অজি দলের জন্য করুণার উদয় হতে পারে। তবে ক্রিকেটে করুণার কোনো জায়গা নেই। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী – এই নীতিবাক্যকে সম্বল করে প্রতিটি ক্রিকেট দল মাঠে নামে। অস্ট্রেলিয়াকে কুপোকাত করার পর এবার নিউজিল্যান্ডে রওনা হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। কিউইদের দেশে কোহলিরা এবার সমগ্র ট্যুরে পাঁচটি টি-২০ আন্তর্জাতিক, তিনটি ওডিআই এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবেন। এদিকে নিউজিল্যান্ড তাদের ঘরের মাঠের পরিবেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তারা কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ভারতকে নিশ্চিতভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। ভারতকে এই মুহূর্তে দেখে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছে। ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছেই ভারতকে পরাজিত হতে হয়েছিল। তবে সেসব এখন অতীত। বিশ্বকাপে বিপর্যয়ের পর ভারতীয় দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পর পর সিরিজে জয়ী হয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে বিরাট কোহলির দল। অবশ্য ইতিহাস অন্য কথা বলছে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভারতের রেকর্ড খুব একটা আশাব্যাঞ্জক নয়। বিরাট কোহলিদের অবশ্যই এই ইতিহাস বদলানোর ক্ষমতা আছে। তবে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। সিরিজের প্রথমে টি-২০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম টি-২০ ম্যাচ হবে আগামী ২৪ জানুয়ারি অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে।
‘নিউজিল্যান্ডের পিচ ব্যাটিং সহায়ক হয়ে উঠেছে’: শচীন তেন্ডুলকর
মহান প্রাক্তন ব্যাটসম্যান শচীন তেন্ডুলকর বলেছেন, গত কয়েক বছরে নিউজিল্যান্ডে পিচের চরিত্র বদলে গিয়েছে। তার মতে, নিউজিল্যান্ডের পিচগুলি সম্প্রতি ব্যাটিং সহায়ক হয়ে উঠেছে। যার ফলে আসন্ন সিরিজে আয়োজক দেশ নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করতে পারে ভারত।
১৯৯০ সাল থেকে মোট পাঁচবার নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকরের। তিনি মনে করেন, নিজের কেরিয়ারের প্রথম দিকে তিনি যখন নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন, তখন সেখানকার পিচে সিমাররা বাড়তি সুবিধা পেতেন। তবে ২০০৯ সালে নিজের শেষ নিউজিল্যান্ড সফরের সময় দেখা গিয়েছে, ওই পিচগুলি হাই স্কোরিং হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ বেশি রান উঠছে। স্পোর্টসস্টারে প্রকাশিত তেন্ডুলকরের বক্তব্য, সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচগুলি হাই স্কোরিং হয়ে উঠেছে। সার্ফেস বদলে গিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে সফরের স্মৃতিচারণা করেছেন শচীন তেন্ডুলকর। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের সফরের কথা আমার এখনও মনে আছে। অন্যান্য পিচের থেকে হ্যামিল্টনের পিচ পৃথক ছিল। অন্যান্য পিচ শক্ত হলেও (ওয়েলিংটন এবং নেপিয়ার) হ্যামিল্টনের পিচ তেমন ছিল না। এটি নরম ছিল। তেন্ডুলকর বলেন, যত সময় এগিয়েছে, নেপিয়ারের পিচ ক্রমশ শক্ত হয়েছে (যেখানে গৌতম গম্ভীর ২০০৯ সালে ১২ ঘন্টার লড়াইয়ে ম্যাচ বাঁচানো একটি শতরান করেছিলেন)। সুতরাং আমার প্রথম সফর থেকে (১৯৯০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত) শেষ পর্যন্ত এই উপলব্ধি হয়েছে যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের পিচ ক্রমশ শক্ত হয়ে উঠেছে।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- এমএস ধোনি কোনোদিন টিম মিটিংয়ে বলেননি যে আমি স্লো ফিল্ডার: বীরেন্দ্র সেহওয়াগ
- নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত, ২০২০, ৪র্থ টি-২০ আন্তর্জাতিক – কে কি বললেন
- মহম্মদ শামি এখন দুনিয়ার সেরা ফাস্ট বোলার: শোয়েব আখতার
- আমার দুটি ছক্কা নয়, মহম্মদ শামির ফাইনাল ওভারের জন্যই আমরা জয়ী হয়েছি - রোহিত শর্মা
- সুপার ওভার থাকা উচিত নয়, বললেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন
মন্তব্য