পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম হলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। গতি এবং স্যুইং করানোর দক্ষতার জন্য তিনি ব্যাটসম্যানদের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম শ্রেণীর প্রাক্তন ক্রিকেটার জেমস প্যামেন্ট সম্প্রতি জানিয়েছেন, ওয়াসিম আক্রমের একটি ডেলিভারিতে তিনি বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন। প্যামেন্ট জানিয়েছেন, ওয়াসিম আক্রমের প্রথম বলে বাউন্ডারি মারার পরেও তিনি চিন্তিত ছিলেন। শেল ট্রফিতে ভালো খেলার পর প্যামেন্টকে ১৯৯৫-১৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে কিউই দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আক্রম একটি জুসি হাফ ভলি ছোঁড়েন প্যামেন্টের উদ্দেশ্যে। এই ডেলিভারিতে সজোরে ব্যাট চালিয়ে সাইড স্ক্রিনের দিকে একটি চার মারেন প্যামেন্ট। যদিও এই কিউই ব্যাটসম্যান তার এই সিদ্ধান্তের জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেন। প্যামেন্টের কথায়, ওই শট মারার মাঝপথে আমার মনে হয়েছিল, এটা কেন করছি? বিষয়টা বোকা বোকা হয়ে গেল। তিনি আরও যোগ করেন, আমি জানতাম এই ধরণের ডেলিভারি আমার দিকে আসবে। পরের ডেলিভারিও একই রকম ছিল। সেই সঙ্গে বলের গতি আগের থেকে ঘন্টায় ৩৫ কিলোমিটার বেশি ছিল। সেটা সরাসরি এসে লাগে আমার হেলমেটের সামনে। ব্যাজটি খসে পড়ে যায়। সেটা তুলে আমি আবার আমার পকেটে রাখলাম।

ঘটনাটির ব্যাপারে ট্যুইটারে প্রতিক্রিয়া জানালেন ওয়াসিম আক্রম

পরের বলটি বিশাল ব্যবধানে মিস করেন প্যামেন্ট। পরের বলে তিনি খোঁচা মারেন এবং স্লিপে তার ক্যাচ ধরেন ইনজামাম উল হক। আউট হওয়ার পর তখন হাঁটতে শুরু করেছেন প্যামেন্ট। এমন সময় কেউ তাকে বলেন, তিনি ভুল দিকে হাঁটছেন। প্যামেন্ট জানিয়েছেন, আক্রমের ওই বল হেলমেটে লাগার পর কিছুক্ষণের জন্য তার কংকাশান হয়েছিল। যাইহোক, দিক পরিবর্তন করে তারপর প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতে শুরু করেন প্যামেন্ট।

সেই পুরানো ঘটনা প্রসঙ্গে ট্যুইটারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ওয়াসিম আক্রম। প্রথম বলেই চার মারার জন্য প্যামেন্টের উদ্দেশ্যে খোঁচা দিয়ে পাকিস্তানের এই কিংবদন্তী প্রাক্তন পেসার বলেন, হাহাহা ঠিক মনে নেই ঘটনার কথা তবে শুনে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার ছিল! আপনার মাথায় কি ঘুরছিল যে প্রথম বলেই আমাকে চার মারার কথা ভাবলেন?? তবে কংকাশানের ব্যাপারে দুঃখিত বন্ধু। প্রসঙ্গত, গত অ্যাশেজ সিরিজ চলাকালীন জোফ্রা আর্চারের একটি বিষাক্ত বাউন্সারে কংকাশন চোট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ।