৩৪ বছর বয়সে সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ড্যানিয়েল ফ্লিন। নিউজিল্যান্ডের এই বাঁহাতি ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার প্রত্যাশা অনুযায়ী অগ্রসর হতে পারেনি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দেশের হয়ে তিনি ২৪টি টেস্ট, ২০টি ওডিআই এবং পাঁচটি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটি ৯৫ রানের স্কোর সহ ছয়টি টেস্ট অর্ধশত রান ছাড়া তিনি উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলতে পারেননি। ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে সর্বোচ্চ স্তরে তিনি ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি।
তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টের হয়ে তিনি সাফল্যের নজির গড়েছেন। ১৩৫টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ, ১১৩টি লিস্ট এ এবং ১০৯টি টি-২০ ম্যাচ থেকে তিনি যথাক্রমে ৭৮১৫, ২৭৫৩ এবং ১৮৩৭ রান করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাকে শেষবার খেলতে দেখা গিয়েছিল ক্যান্টারবিউরির বিরুদ্ধে সুপার স্ম্যাশ টি-২০ টুর্নামেন্টে। নিজের কেরিয়ারের দিকে ফিরে তাকিয়ে তৃপ্তি প্রকাশ করেছেন ফ্লিন। তিনি বলেন, অনেক স্মৃতি নিয়ে তিনি ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে, যেগুলি আগামী দিনেও তার মনে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ড্যানিয়েল ফ্লিন
ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে তার প্রকাশিত মন্তব্য, নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করা যে কোনো ক্রিকেটারের চূড়ান্ত লক্ষ্য। ছোটোবেলা থেকে আমরা এই স্বপ্ন দেখি। সুতরাং সেটা অর্জন করতে সক্ষম হওয়া অবশ্যই তৃপ্তিদায়ক।
নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টের হয়ে তিনি ১০০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে খেলেছেন এবং তার মধ্যে ৪৭টি ম্যাচে অধিনায়কের ভূমিকা পালন করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট দলের হয়ে তিনি মোট ২০টি শতরান করেছেন, যা নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে যেকোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ সংখ্যক শতরান। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সময় তিনি সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে ড্যানিয়েল বলেন, যারা আমার কেরিয়ারে আমার সঙ্গে খেলেছেন, তাদের কথা আলাদা করে বলতে হবে। তারা শুধু ভালো ক্রিকেটারই নন, সেই সঙ্গে ভালো মানুষও। মাঠে এবং মাঠের বাইরে তাদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এনডি (নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট)-এর হয়ে তাদের সঙ্গে ট্রফি জেতা সবসময়ই একটা স্পেশাল ব্যাপার হয়ে উঠেছিল। এই সমস্ত স্মৃতি আমি কখনোই ভুলতে পারব না।
২০০৮ সালে ক্রাইস্টচার্চে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে কিউইদের হয়ে ডেবিউ করেন ফ্লিন। একই বছর তিনি বাকি দুটি ফরম্যাটে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি শেষবার নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি টেস্ট ম্যাচে। নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্টেও তার ফর্ম ভালো ছিল না। ১০টি ম্যাচে ১৪.৫০ গড় সহ তিনি মাত্র ৮৭ রান করেছিলেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ক্যান্টারবিউরিতে অকল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৯ রান।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য