বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) প্রত্যেক বছর অনুষ্ঠিত হয়। এই টুর্নামেন্টের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল গ্ল্যামার এবং অর্থ। তবে আসন্ন মরসুম শুরু হওয়ার আগেই বিসিসিআই জানিয়েছে, আইপিএলের পুরস্কার অর্থ গত বছরের তুলনায় অর্ধেক করা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
গত সপ্তাহে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পাঠানো একটি সার্কুলারে বিসিসিআই জানিয়েছে, প্লেঅফ স্ট্যান্ডিং ফান্ড গত বছরের তুলনায় অর্ধেক করা হয়েছে। যার ফলে আইপিএলের জয়ী দলে পূর্বেকার ২০ কোটি টাকার বদলে পাবে ১০ কোটি টাকা। ১২.৫ কোটি টাকার বদলে এবার ৬.২৫ কোটি টাকা পাবে রানা আপ দল। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানাধিকারী দল পূর্বেকার ৮.৭৫ কোটি টাকার বদলে পাবে ৪.৩৭৫ কোটি টাকা। তবে লিগের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, খরচ কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। টাইমস নাওতে প্রকাশিত তার বক্তব্য, ২০১৩ সালে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের তরফে বলা হয়েছিল, তারা আইপিএলে অর্থ রোজগার করতে পারছে না। সুতরাং আমরা মনে করেছিলাম, আমরাও অর্থ প্রদান করব যাতে খেলোয়াড়দের পেমেন্ট নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরি না হয়। এবার তারা লাভের মুখ দেখেছে। এটা কেবলমাত্র লাভের মধ্যে লোকসান।
বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক এই পদক্ষেপের পিছনে কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের পুরস্কার অর্থে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। ২০১৩-১৪ মরসুম থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের যে বাড়তি আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হচ্ছিল, কেবলমাত্র সেটাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিসিসিআইয়ের এই পদক্ষেপের কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের উপর আর্থিক বোঝা বাড়বে। ম্যাচ প্রতি হোম অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের বাড়তি ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে। অ্যাসোসিয়েশন সব মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকা পাবে। পূর্বেকার ৩০ লক্ষ টাকার বদলে এবার অ্যাসোসিয়েশনকে ৫০ লক্ষ টাকা দেবে বিসিসিআই। বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ম্যাচ আয়োজন করতে অ্যাসোসিয়েশনের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি বিসিসিআই তাদের অধিক টাকা প্রদান করছে। একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন করতে অ্যাসোসিয়েশনের ১.৫ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়। এবার তারা ১ কোটি টাকা পাবে।
চাপের মধ্যে রয়েছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি
ফ্র্যাঞ্চাইজিরা জানিয়েছে, এই ব্যাপারে অপর্যাপ্ত তথ্যের কারণে তারা হতাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির আধিকারিক বলেন, এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে কোনোটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। আমরা স্টেকহোল্ডার হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিসিসিআইয়ের আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। প্রসঙ্গত, এবারের আইপিএল আগামী ২৯ মার্চ থেকে শুরু হবে। প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিখ্যাত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- আইপিএল ২০২০-তে চিনা সংস্থাগুলি বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ করবে ৭০০ কোটি টাকা
- ইউএইতে আইপিএল আয়োজনের বিরোধীতা করল ভারতীয় বণিক সংগঠন
- আইপিএল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
- ‘যে কোনোভাবে সুনীল নারাইনকে আমার দলে চাই’, ২০১২ আইপিএল নিলামের আগে বলেছিলেন গৌতম গম্ভীর
- ৮-এর বদলে ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে আইপিএলের ফাইনাল
মন্তব্য