পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিজেদের দেশে নিয়মিত ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আয়োজনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। ২০১৯ সালে তারা নিজেদের দেশে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০, ওডিআই এবং টেস্ট সিরিজ সফলভাবে আয়োজন করেছে। এটি অবশ্যই পিসিবির কাছে একটি বড় সাফল্য। এবার টেস্ট এবং টি-২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার জন্য পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশের যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পরই পাকিস্তানে ক্রিকেট দল পাঠাবে বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসেই পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। তিনি এখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলের হয়ে খেলছেন।

২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়নি অধিকাংশ ক্রিকেট দল। তারপর বাধ্য হয়ে নিরপেক্ষ ভেনু হিসেবে ইউএইকে বেছে নেয় পাকিস্তান। তবে সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের জন্য আর কোনো নিরপেক্ষ ভেনুতে নিজেদের হোম সিরিজে ম্যাচ খেলতে রাজি নয় পিসিবি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবার থেকে তাদের হোম সিরিজের প্রতিটি ম্যাচ নিজেদের দেশে খেলবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রিস গেইলের মন্তব্য

শ্রীলঙ্কার পর এবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। তবে বিসিবির তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এই সিরিজ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। পাকিস্তান সফরের জন্য বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে এখনও বিসিবিকে নিরাপত্তার ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তাছাড়া বাংলাদেশের একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার পাকিস্তান সফরে টি-২০ খেলতে রাজি হলেও টেস্ট খেলতে ইচ্ছুক নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বিসিবি জানিয়েছে, বোর্ডের তরফ থেকে কোনো খেলোয়াড়কেই পাকিস্তানে যেতে বাধ্য করা হবে না।

ক্রিস গেইল বলেন, পাকিস্তান এখন ক্রিকেট খেলা এবং ভ্রমণ করার জন্য একটি নিরাপদ জায়গা। তিনি আরও যোগ করেন, খেলোয়াড়দের রাষ্ট্রপতি স্তরের নিরাপত্তা দেওয়ায় তারা সমস্তরকম ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকবেন। এর পাশাপাশি গেইল তার নিজস্ব ঢংয়ে বলেন, বাংলাদেশও নিরাপদ। হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত গেইলের মন্তব্য, পাকিস্তান এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ জায়গা। ওরা জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের রাষ্ট্রপতির সমতুল নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সুতরাং তারা নিরাপদে থাকবে। বাংলাদেশেও আমরা নিরপাদে আছি। তাই না?

চার দিনের প্রস্তাবিত টেস্ট নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন গেইল। তিনি বলেন, পাঁচ দিনের টেস্ট একটি ট্রেন্ড তৈরি করে দিয়েছে। সেটি এখন কেন পরিবর্তন করা হবে বলেও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তার মতে, পাঁচ দিনের টেস্ট একজন খেলোয়াড়ের জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। ক্রিস গেইল যোগ করেন, এটি (পাঁচ দিনের টেস্ট) একটি ট্রেন্ড তৈরি করে দিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এটাই চলে আসছে। সেটায় অহেতুক পরিবর্তন করার কি দরকার। পাঁচ দিনের ক্রিকেট একজন খেলোয়াড়ের জীবনে অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এটি একটি মানসিক অবস্থাও বটে, যেটি জীবন যুদ্ধের জন্যও আপনাকে প্রস্তুত করে তোলে।