ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩তম সংস্করণ আর মাত্র এক পক্ষকাল দূরে রয়েছে। আইপিএলের আসন্ন সংস্করণ আগামী ২৯ মার্চ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আরম্ভ হবে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চির প্রতিদ্বন্দ্বী চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে চুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
তবে আইপিএল শুরু হওয়ার আগেই বিশ্বব্যপী করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে ভারতের এই টি-২০ টুর্নামেন্ট ঘিরে নানা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এবার আসন্ন মরসুমের আইপিএল বন্ধের আর্জি জমা পড়ল আদালতে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের পর বিসিসিআই যাতে আইপিএল ২০২০ না আয়োজন করে, সেই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে মাদ্রাস হাইকোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। জি অ্যালেক্স বেনজিগার নামে এক আইনজীবী ওই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। ১২ মার্চ বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ এবং কৃষ্ণাণ রামাস্বামীর ডিভিশন বেঞ্চের সামনে বিষয়টি পেশ করা হবে। বেনজিগার তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন যে, এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো ওষুধ পাওয়া যায়নি। তাই এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে থামাতে হবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ওই আবেদনকারী বলেন, আজকের তারিখে দাঁড়িয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর প্রতিরোধ বা চিকিৎসার জন্য এখনও কোনো ওষুধ নেই। ওই আবেদনকারী আরও বলেন, গোটা বিশ্বকে দ্রুত গতিতে গ্রাস করছে করোনাভাইরাস এবং এটি একটি বড় আকারের মহামারিতে পরিণত হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন ক্রীড়া কর্মসূচীতে কিভাবে ব্যাঘাত ঘটেছে সেই উদাহরণও তুলে ধরেছেন এই আবেদনকারী। উদাহরণ হিসেবে বিশ্বের প্রাচীনতম লিগগুলির মধ্যে একটি, ইটালি ফেডারেশন লিগের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত দর্শককে মাঠে যেতে নিষেধ করেছে ইতালির সরকার। তাই রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে ইটালি ফেডারেশন লিগের ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আবেদনকারী আরও জানিয়েছেন, আইপিএল টি-২০ ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন থেকে যাতে বিসিসিআই বিরত থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন। তবে তাতে কোনো জবাব না মেলায় তিনি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন।
চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র সরকার
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কিছু রিপোর্ট থেকে জানা যায়, করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় চলতি বছরের আইপিএল স্থগিত বা সাসপেন্ড করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে আর্জি জানিয়েছে কর্ণাটক সরকার। রিপোর্টে আরও বলা হয় যে কর্ণাটক সরকার আসন্ন আইপিএলের কোনো ম্যাচের আয়োজন করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনা করার কথা বলেছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। তিনি বলেন, বহু মানুষ যখন একত্রিত হন তখন এটির (করোনাভাইরাস) ছড়ানোর একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই ধরণের (আইপিএল) ইভেন্ট পরে আয়োজন করা যেতে পারে।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- আইপিএল ২০২০-তে চিনা সংস্থাগুলি বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ করবে ৭০০ কোটি টাকা
- ইউএইতে আইপিএল আয়োজনের বিরোধীতা করল ভারতীয় বণিক সংগঠন
- আইপিএল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
- ‘যে কোনোভাবে সুনীল নারাইনকে আমার দলে চাই’, ২০১২ আইপিএল নিলামের আগে বলেছিলেন গৌতম গম্ভীর
- ৮-এর বদলে ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে আইপিএলের ফাইনাল
মন্তব্য