হায়দ্রাবাদ:সুইজারল্যান্ডের বেসেলে সদ্যসমাপ্ত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা হয়েছেন পিভি সিন্ধু। ভারতের এই সোনার মেয়ের ঝুলিতে দুটি রূপোর পদকও আছে। বেসেলে ম্যাচ চলাকালীন ভারতের কোচ পুল্লেলা গোপিচাঁদের পাশে এক মহিলাকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছিল। ওই মহিলা হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কিম জি হিয়ুন। কোচিংয়ে তার দুই দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা আছে। গোপিচাঁদ চরম ব্যস্ততার মধ্যে সময় বের করতে পারছিলেন না। তাই সাইনা নেহওয়াল এবং সিন্ধুর কোচিংর জন্য এই দক্ষিণ কোরীয় মহিলাকে বেছে নেন তিনি। সিন্ধু, সাইনাকে কোচিং করানোর জন্য গাচিবোলিতে চলে আসেন কিম।
তাকে নিয়োগ করে স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এসএআই)। সিন্ধু, সাইনাকে কোচিং করানোর জন্য ২০১৯ সালের মার্চে হায়দ্রাবাদে আসেন কিম। সাইনা তার কোচিং সংক্রান্ত বিষয়ে স্বামী পারুপল্লি কাশ্যপের থেকে মূলত সাহায্য নেওয়ায় সিন্ধুর জন্যই অধিকাংশ সময় ব্যয় করেন কিম। গোপিচাঁদ ট্রেনিং শিডিউল তৈরি করে দেন। পাশাপাশি কিমকে তিনি বলেন, সিন্ধুকে নিজের মতো করে কোচিং করান।
সেই অনুযায়ী কিমের তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং আরম্ভ করেন সিন্ধু। কিম নিজেকে কেবল কোচ নয়, একজন অনুপ্রেরণা প্রদানকারী, কাউন্সেলর হিসেবেও বিবেচনা করেন। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একে অপরের প্রতি বিশ্বাসটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদেরকে বিশ্বাস না করলে একসঙ্গে কাজ করে লাভ কী ? নিজের ওপর বিশ্বাস এবং নিজের প্লেয়ারের দক্ষতায় বিশ্বাস করতে হবে।
শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। ট্রেনিং আরম্ভ করার পর কিমের মনে হয়েছিল, সিন্ধু নিজেকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারতেন। কিম বলেন, যেভাবে সিন্ধু খেলেন আমার মনে হয়েছিল সেটি যথাযথ নয়। সর্বোচ্চ স্তরে খেলতে গেলে চতুর এবং দক্ষ হতে হবে। টেকনিক, হিটিং এবং মানসিকতার সঠিক সংমিশ্রণে সাফল্য আসবে। সিন্ধুর অনেক দক্ষতার, বিশেষত নেট স্কিল এবং ডিসেপশনের উপর কাজ করতে হবে। ধাপে ধাপে আমরা এগোচ্ছি। রণকৌশল বদলে ফেলছি। কারণ একই কৌশল বারবার অবলম্বন করা যায় না।
তবে ট্রেনিং শুরু করার পর সিন্ধু সম্পর্কে কিমের ধারণা বদলে যায়। কারণ ২৪ বছর বয়সী ভারতীয় তারকা ভালো ফল পেতে শুরু করেন। বেসেলে নোজোমি ওকুহারাকে সিন্ধু পরাজিত করার পর তার কোচ বলেন, এখন আক্রমণই হল খেলার সারকথা।
ফাইনালের প্রাক্কালে একটি খবরের কাগজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোপিচাঁদ যা বলেছিলেন সেটারই পুনরাবৃত্তি করলেন কিম। গোপিচাঁদ ওই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমরা চাই ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলুক সিন্ধু। সিন্ধু সেটাই করেছে এবং আমরা তার ফল পেয়েছি।
সুইজারল্যান্ডের মাটিতে ইতিহাস রচনা করার পর কিমকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন গোপিচাঁদ। তিনি বলেন, অনেক প্লেয়ারের দায়িত্ব রয়েছে আমার ওপর। তাই এই কাজে আমাকে সাহায্য করার জন্য একজনকে প্রয়োজন ছিল। সিন্ধুকে প্রস্তুত করার কাজে কিম এবং সাপোর্ট স্টাফরা সফল হয়েছেন।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য