এশিয়া কাপ ২০২০ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। যদিও ভারতীয় দল পাকিস্তানে যেতে রাজি না হওয়ায় এই টুর্নামেন্টের ভাগ্য ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই টুর্নামেন্টের শেষ সংস্করণ ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এই টুর্নামেন্ট স্থানন্তর করা হয়। এবারেও ঠিক একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। চলতি বছরের টি-২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এবারের এশিয়া কাপ ৫০ ওভারের বদলে ২০ ওভারের ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে যখন এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেই বছরের টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে ২০ ওভারে টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। এখন যা পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে, এশিয়া কাপ ২০২০-এর বিকল্প ভেনু হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে ইতিমধ্যে তাদের একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য টাইগারদের পাকিস্তান সফরের বিনিময়ে এই চুক্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পাকিস্তান সফরে ভারতের অনীহার কারণে এই সিদ্ধান্ত

ভারত যেহেতু পাকিস্তান সফরে যেতে পারবে না, তাই এবারের এশিয়া কাপের মূল আয়োজক পাকিস্তানকে একটা বিকল্প ভেনুর সন্ধান করতে হচ্ছে। পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আসন্ন এশিয়া কাপ একটি নিরপেক্ষে কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেই নিরপেক্ষ কেন্দ্র কোনটি, তা ফাঁস করেননি পিসিবি চেয়ারম্যান। অন্যদিকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবং বিসিবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান আশ্বাস দিয়েছেন যে, বাংলাদেশে এশিয়া কাপের আয়োজন হলে সেখানে ভারতের অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি উদ্যোগী হবেন। পিসিবি জানিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান হল আসন্ন এই ইভেন্টের আয়োজক। বিসিসিআই এই প্রসঙ্গে কি মন্তব্য করেছে তা নিয়ে তারা মাথা ঘামাতে নারাজ। এর আগে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, এশিয়া কাপ আগামী সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হবে। যদিও পিসিবি জানায়, এই রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনও গৃহীত হয়নি। এর পর বিষয়টি নিয়ে উদবেগ প্রকাশ করে বিসিবি। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে পাকিস্তান সিরিজের অবশিষ্ট অংশ খেলার জন্য তারা পাকিস্তানে যেতেও আশঙ্কা প্রকাশ করে।

বিসিবিকে আশ্বাস দিয়ে পিসিবি জানায়, আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। উপরোক্ত চুক্তি অনুযায়ী এশিয়া কাপ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। টি-১০ লিগে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে এনওসি প্রদান করেনি পাকিস্তান। কারণ হিসেবে তারা ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোডের কথা উল্লেখ করেছিল। এর পরই পিসিবি এবং এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। অবশ্য পিসিবির এক মুখপাত্রের দাবি, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে কোনো চুক্তি হয়নি। চলতি মাসের শেষের দিকে এসিসির বৈঠকে এশিয়া কাপের ভেনু নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।