গত মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শক্তিশালী হওয়ার পর থমকে গিয়েছে ক্রীড়া জগৎ। বন্ধ হয়েছে সমস্ত প্রকারের ক্রিকেট ম্যাচ। ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সীমিত ওভারের সিরিজ স্থগিত করে দেওয়া হয়। বহু প্রতিক্ষিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২০ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত ২৯ মার্চ থেকে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এই টি-২০ ইভেন্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল ২০২০ স্থগিত করা হয়েছে।
ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এবারের আইপিএল ভারতের বাইরে কোনো দেশে আয়োজন করা যায় কি না, সেই বিকল্প খতিয়ে দেখছে দ্য বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের সুরক্ষার সঙ্গে কোনোরকম আপোস করা হবে না। টাইমস নাওতে প্রকাশিত ধুমালের বক্তব্য, “যদি ভারতে আইপিএলের আয়োজন খেলায়াড়দের ক্ষেত্রে সুরক্ষিত হয়, সেটাই হবে আমাদের প্রথম পছন্দ। আমাদের হাতে বেশি বিকল্প নেই। তবে ভারতের বাইরে আইপিএল ২০২০ আয়োজন করার একটা সুযোগ রয়েছে।
এর আগেও বিদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইপিএল
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল সমগ্র আইপিএল। সেই বছর লোকসভা নির্বাচন থাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ঠিক একই কারণে ২০১৪ সালে টুর্নামেন্টের কিছু ম্যাচ ইউনাইটেড আরব এমিরেটসে (ইউএই) আয়োজিত হয়েছিল। ধুমাল বলেন, “অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়েছে। এটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা হয়তো করতে পারব না কিন্তু এটাই আমাদের সামনে একমাত্র রাস্তা। এর থেকে আর বিশেষ কিছু করার নেই।।”
এর আগে জানা গিয়েছিল যে, যদি এবারের আইপিএল অনুষ্ঠিত না হয়, তাহলে প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। পরিস্থিতি এরকম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যে ক্রিকেটারদের বেতন পর্যন্ত হ্রাস করা হতে পারে। এছাড়া আরও কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে, এবারের আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং ইউএই। তবে ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কারণে এই বিকল্পের ব্যাপারে আপাতত কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অরুণ ধুমাল বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারি থেকে কোনো দেশই নিরাপদ নয়। সুতরাং আইপিএল স্থানান্তর এবং শ্রীলঙ্কা, দুবাই বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে ক্রিকেটারদের নিয়ে যাওয়া সহজ হবে না। এখন প্রত্যেক জায়গাতেই প্রায় একই পরিস্থিতি। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরও একটি সমস্যা। শ্রীলঙ্কা ঠিক ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে সেখান থেকেও করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। আমাদের এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।”