করোনাভাইরাসের বিস্তারের জেরে গোটা বিশ্ব এখন থমকে গিয়েছে। অনেক ক্রিকেটার এই সময়টাকে তাদের অনুরাগীদের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং তাদের মাঠে ও মাঠের বাইরের নানা গল্প বা ঘটনা শেয়ার করার জন্য ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং এমনই একটি মাঠের ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন। পন্টিং ট্যুইটারে জানিয়েছেন, ২০০৫ সালের অ্যাশেজে এজবাস্টন টেস্ট ম্যাচে অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফের বোলিং স্পেল ছিল রিভার্স স্যুইং বোলিংয়ের অন্যতম সেরা নিদর্শন। যদিও অনেক ক্রিকেট অনুরাগী পন্টিংয়ের এই মতামতের সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করেননি। তারা পন্টিংকে পালটা জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কি সঠিক পর্যবেক্ষণ করেছেন? এই পালটা যুক্তি দাঁড় করানোর জন্য অনেক ক্রিকেট অনুরাগী অন্যান্য বোলারদের ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন। তাদের প্রশ্ন ছিল, এই ভিডিও ক্লিপগুলিতে যাদের দেখা যাচ্ছে, তারা কি ফ্লিন্টফের থেকেও ভালো নয়? অবশেষে বুধবার পন্টিং জানিয়েছেন, তিনি যেসব বোলারের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বল করতেন পাকিস্তানের শোয়েব আখতার। সেই দ্রুততম বোলিংয়ের একটি ভিডিও নিজের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডলেও শেয়ার করেছেন ক্যাঙ্গারুদের প্রাক্তন অধিনায়ক।
ট্যুইটারে শোয়েব আখতারের ভিডিও শেয়ার করলেন রিকি পন্টিং
তিনি বলেন, তার মুখোমুখি হওয়া সেরা বোলার হিসেবে ফ্লিন্টফের নাম বলার পর তার দিকে অনেক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে। পন্টিং বলেন, পাকিস্তানের পেসার শোয়েব আখতারের ওই স্পেল ছিল তার মুখোমুখি হওয়ার সবচেয়ে দ্রুত গতির বোলিং। প্রাক্তন অজি অধিনায়ক আরও জানিয়েছেন, একদিকে যখন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেসে আগুনে বোলিং করছিলেন, তখন অন্যদিকে থাকা তার ব্যাটিং পার্টনার জাস্টিন ল্যাঙ্গার বিশেষ উদ্যোগ দেখাননি। কিংবদন্তী প্রাক্তন অজি খেলোয়াড় তার ট্যুইটে লেখেন, আমার মুখোমুখি হওয়া সেরা বোলার হিসেবে ফ্লিন্টফের কথা বলার পর থেকে আমার কাছে প্রচুর প্রশ্ন এসেছে। তবে শোয়েব আখতারের এই স্পেলটা ছিল সবচেয়ে দ্রুত, আমি যার মুখোমুখি হয়েছে। বিশ্বাস করুন, ক্রিজের অন্যদিকে দাঁড়িয়ে থাকা জাস্টিন আমাকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করেন নি।
শেয়ার করা ভিডিওতে যে স্পেল দেখা যাচ্ছে সেটি পার্থের ওয়াকায় পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়ার একটি টেস্ট ম্যাচের অংশ। ওয়াকার পিচ এখনও বিশ্বের দ্রুততম উইকেট হিসেবে পরিচিত। শোয়েব আখতার এই উইকেটের সুব্যবহার করেছেন। তিনি সেই ম্যাচে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বল করছিলেন। বিশ্বের মহানতম ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্যতম রিকি পন্টিংও ওই সিরিজে ব্যাট হাতে বিশেষ সফল হতে পারেননি। ওই সিরিজে তিনি মোট তিনবার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন, যা রিকি পন্টিংয়ের কেরিয়ারে বিরল ঘটনা। এটাই ছিল তার টেস্ট কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়। শোয়েব আখতারের ঝোড়ো বোলিংয়ের সামনে এই তাসমানিয়ান ব্যাটসম্যানকে শান্ত থাকতে হয়েছে। অবশ্য সেসব সহ্য করার পর পন্টিং ১৯৭ রানের একটি উজ্জ্বল ইনিংস খেলেছিলেন। এছাড়া ল্যাঙ্গার করেছিলেন ১৪৪ রান। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার দৌলতে সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে এক ইনিংস এবং ২০ রানে পরাজিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য