শোয়েব আখতার যখন খেলার দুনিয়ায় ছিলেন, তখন নিজের আগুনে গতির জন্য তিনি সর্বদা খবরের শিরোনামে থাকতেন। ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিংয়ের জেরে তিনি অনেক ব্যাটসম্যানের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করেছিলেন। ভারতীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার বিবাদ ছিল ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম চর্চিত বিষয়। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের সময় বিষয়টা তুঙ্গে পৌঁছে যায়। শোয়েব আখতারের প্রথম ওভারেই তাকে বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন তেন্ডুলকর। ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে এখনও সেই স্মৃতি টাটকা হয়ে রয়েছে।

এছাড়া রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন তেন্ডুলকরকে আউট করার জন্য শোয়েব আখতার লাগাতার যে ইয়র্কার ছুঁড়তেন, সেগুলি তার কেরিয়ারের সেরা বোলিংয়ের নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। মাঠের মধ্যে এত প্রতিযোগিতা থাকলেও মাঠের বাইরে তারা ভালো বন্ধু হিসেবে পরিচিত। ক্রিকেট উপস্থাপক জাইনাব আব্বাসের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার তার কেরিয়ারের বেশ কিছু না বলা কথা এবং ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিশদ খোলসা করে বলেছেন। সেই কথোপকথনের সময় শোয়েব আখতার বলেন, শচীন, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এও জানিয়েছেন, গাঙ্গুলি তার বল ভালোভাবে খেলতে পারতেন না। যদিও মাঠের বাইরে এই ত্রয়ীর সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। ম্যাচের পর অনেক সময় এই ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিনি ডিনার করতেন।

সেহওয়াগ বড় মনের মানুষ, বললেন শোয়েব আখতার

পুরানো দিনের কথা স্মরণ করতে গিয়ে শোয়েব আখতার বলেন, শচীন তেন্ডুলকর আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি অত্যন্ত ভালো এবং অমায়িক। অনেকেই হয়তো জানেন না যে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ অনেক বড় মনের মানুষ। সৌরভ গাঙ্গুলি আমাকে ভালোভাবে সামলাতে পারেননি। তিনি আমার বোলিংয়ে ভালো খেলতে পারেননি। তবে আমরা সবাই ম্যাচের পর ডিনারে যেতাম।

প্রসঙ্গত, ৪৪ বছর বয়সী এই প্রাক্তন খেলোয়াড় তার মন্তব্যের জন্য সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অর্থ জোগাড় করার জন্য তিনি ভারত-পাকিস্তান ওডিআই সিরিজের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে উভয় দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা মনে করেন, এটা সম্ভব নয়। শোয়েব আখতারের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করেছেন সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব এবং জাহির আব্বাস। অন্যদিকে শোয়েবের  পক্ষে বক্তব্য বেশ করেছেন শাহিদ আফ্রিদি।