বিশ্বকাপে বুক চিতিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে পৌঁছতে না পারলেও এশিয়ান টাইগারদের পারফরমেন্স সবার নজর কেড়েছে। ব্যাট-বল হাতে ময়দান কাঁপিয়েছেন শাকিব আল হাসান। তবে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরমেন্স ক্রমশ নিম্নগামী হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় সীমিত ওভারের সিরিজ তারা পরাজিত হয়। তারপর বাংলাদেশ ঘরের মাটিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত একটি টেস্ট ম্যাচে হেরে যায়। এই ব্যর্থতাগুলির চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিসিববি সহ বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রশাসক, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রিস্ট স্পিনার এবং টিয়ারঅ্যাওয়ে ফাস্ট বোলারদের মোকাবিলা করতে না পারাতেই ওই সিরিজগুলিতে শাকিবদের হারতে হয়েছে। এই পরিস্থিতির সমাধানে একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিসিবি। তাদের নয়া ফর্মান, আসন্ন বিপিএলে প্রতিটি টিমে অন্তত একজন রিস্ট স্পিনার এবং একজন ফাস্ট বোলার আবশ্যিকভাবে থাকতে হবে।
একজন লেগ স্পিনার + একজন পেসারের নিয়মকে সমর্থন করেন না শাকিব
তবে বিপিএলে এই নতুন নিয়মকে সমর্থন করছেন না বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। শাকিবের মতে, এই নয়া নিয়ম ক্রিকেটারদের দমিয়ে রাখবে। তিনি বলেন, এত বছর ধরে সিনিয়র টিমের জন্য আমরা একজন লেগ স্পিনার বাছতে পারিনি। তবুও হঠাৎ করে বিপিএলে সাত জন লেগ স্পিনার অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অবশ্য এই সিদ্ধান্তে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। তবুও আমি বলব, বোর্ড এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেটা তাদের কাছে সঠিক মনে হয়েছে।
বাংলা সংবাদপত্র সমকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব আরও বলেন, আমার মনে হয়ে আত্মবিশ্বাস এবং ধারাবাহিকতা অর্জন করার জন্য প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে লেগ স্পিনারদের বেশি বেশি ওভার বল করতে হবে। বিপিএল হল আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতামূলক একটি টুর্নামেন্ট, এখানে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যা হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়। বিদেশী ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করতে হয়। বিপিএল খেলোয়াড় তৈরির জায়গা নয়।
‘মৌলিক সুবিধা প্রদানে বিসিবির নজর দেওয়া উচিত’
বিসিবির নয়া নিয়মের সঙ্গে সহমত পোষণ না করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রিকেট পরিকাঠামোর উন্নয়ন প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন শাকিব। তার মতে, ইন্ডোর ফেসিলিটিতে এয়ার কন্ডিশনার সংস্থাপনের মতো বিষয়গুলির উপর বিসিবির নজর দেওয়া উচিত। গত দশ বছর ধরে এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত করা হয়নি। শাকিব বলেন, কেবলমাত্র জাতীয় দলের উপর নজর দেওয়া আয়োজকদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত নয়। চট্টগ্রাম, রাজশাহি, খুলনা এবং সিলেটের মতো স্থানগুলিতে যথাযথ জিম, রানিং এবং ইন্ডোর ফেসিলিটির ব্যবস্থা থাকা দরকার। মিরপুর ইন্ডোর ফেসিলিটিতে ১৫ মিনিটের বেশি ব্যাট করা যায় না, কারণ এটি অত্যন্ত গরম হয়ে যায়। ১০ বছর আগে বলা হলেও এখনও এখানে এসি লাগানো হয়নি।
“প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ ফি গ্রহণযোগ্য নয়”
বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বেতন পরিকাঠামো নিয়েও মন্তব্য করেছেন শাকিব। তিনি বলেন, প্রথম শ্রেণীতে ক্রিকেটারদের যা বেতন দেওয়া হয় তা গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশের এক নম্বর অলরাউন্ডারের মতে, দেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের দমিয়ে রাখা হচ্ছে। শাকিব বলেন, আমার সব সময় মনে হয় আমাদের দেশে ক্রিকেটারদের দমিয়ে রাখা হয়। এটা ঠিক নয়। প্রত্যেকের সমান সুযোগ পাওয়া উচিত। একজন খেলোয়াড় তার যতটা উপার্জন করা সঠিক বলে মনে করেন, তাকে সেই সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। দল যদি খেলোয়াড়কে সেই অর্থ প্রদান না করে, তাহলে সেই খেলোয়াড়কেই বিষয়টি সামলাতে হবে। কিন্তু তাকে স্বাধীনভাবে নিজের মূল্য ঘোষণা করা থেকে বিরত করা সঠিক নয়।
Biswajit Manna
News freak, sports enthusiast, translator, amateur writer and avid reader. I live and breathe for Sports!
রিড লিস্ট
- অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দানিশ কানেরিয়া
- আইপিএল ২০২০: করোনা থেকে বাঁচতে পাঁচতারা হোটেলের বদলে রিসর্টে থাকতে চায় দলগুলি, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
- আইসিসির ওডিআই ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা
- কেউ বাবর আজমের কথা বলছেন না কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন: নাসের হুসেন
- এক ওভারে ৩০ রান দেওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা
মন্তব্য