সমগ্র বিশ্বে আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি করেছে কোভিড-১৯। প্রায় গত তিন মাস ধরে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না। যত দিন যাচ্ছে, ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে। করোনা মহামারির কারণে একদিকে ব্যহত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সূচি। তেমনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেক ক্রিকেটার। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি সম্প্রতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তার অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। এদিকে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) বর্তমান প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির পরিবারে থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের একটি রিপোর্ট থেকে এই খবর জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সেক্রেটারি স্নেহাশিস গাঙ্গুলির পরিবারের সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।

আক্রান্ত চারজনের চিকিৎসা চলছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে

স্নেহাশিস হলেন সৌরভের দাদা। পিটিআইয়ের রিপোর্টে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক সিনিয়র আধিকারিক বলেন, স্নেহাশিসের স্ত্রীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া স্নেহাশিসের শ্বশুর এবং শাশুড়িও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত সপ্তাহে তাদের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। স্নেহাশিসের মোমিনপুরের বাড়িতে এক পরিচারকও এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সৌরভের বাড়ি বেহালায়। তবে সম্প্রতি মোমিনপুরের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন স্নেহাশিস। পিটিআই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাদের সবার চিকিৎসা চলছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তদের প্রত্যেকের অবস্থা স্থিতিশিল। তবে স্নেহাশিসের কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তাকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, সৌরভের বেহালার পৈত্রিক বাড়ির বদলে মোমিনপুরের বাড়িতে বসবাসকারী ওই চারজনের শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল, যেগুলির সঙ্গে কোভিড-১৯ এর উপসর্গের মিল পাওয়া যায়। তাদের কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর একটি প্রাইভেট নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শনিবার ফের তাদের পরীক্ষা হবে। তারপর তাদের চিকিৎসা সম্পর্কে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নাসিংহোম সূত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য কর্তা আরও বলেন, তাদের ডিসচার্জ করা হবে কি না, তা পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করবে।